ব্রিগেডের মঞ্চে অধীর আব্বাসের দ্বন্দ্ব, জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ব্রিগেডের মঞ্চে অধীর-আব্বাসের দ্বন্দ্ব শুরুতেই সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়ে গেল। পথচলার শুরুতেই হোঁচট খেল বাংলার সো কলড মহাজোট।
এ দিন ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সরাসরি আক্রমণ করেন আই এস এফ-এর সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকী। ‘হক’ ছিনিয়ে নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি।
যেখানেই বাম-শরিকরা প্রার্থী দেবেন, রক্ত দিয়ে তাঁদের জেতাবার অঙ্গীকারের পাশাপাশি সরাসরি কংগ্রেসের নাম নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, ‘যাঁরা ভাবছেন, কেন কংগ্রেসের নাম নিচ্ছি না, তাঁদের বলছি, ভিক্ষা চাই না।আমরা অংশীদারি করতে এসেছি, তোষণ করতে নয়। হক বুঝে নিতে হবে।’ ব্রিগেডের মঞ্চেই এভাবে সামনে চলে আসে মহাজোটের ফাটল।
রবিবার অধীর রঞ্জন চৌধুরী ব্রিগেডের শেষে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আব্বাসের কথার ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের পার্টি চলে না। আমাদের জোট বামেদের সঙ্গে। তাদের সঙ্গেই আমাদের আলোচনা এখনও শেষ হয়নি। আমরা কী আসন পাবো তা এখনও আমরা জানিনা। কাজেই আমরা কী আসন পাবো তা না জেনে অন্যকে সেটা বলি কী করে?
তিনি এও বলেন, রাজ্যের বিদায়ী বিরোধী দলনেতা আবব্দুল মান্নানকে আব্বাসের সঙ্গে আলোচনার জন্যও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আলোচনার রাস্তা এখনও বন্ধ হয়ে যায়নি।
দিকে এই নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশ শেষে আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জোটে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে একজনের অঙ্গুলিহেলনে গোটা বিষয়টি আটকে রয়েছে। কংগ্রেসকে একথাও মাথায় রাখতে হবে। কারো জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আমরা কারও দয়া-দাক্ষিণ্যে চাইনা। বন্ধু ভেবে হাত বাড়ালে অবশ্যই সাহায্য করব। তবে অপেক্ষা অনন্তকাল করা কারো জন্যই সম্ভব নয়।
এই বিষয়ে আবার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বিষয়টি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন জোট নিয়ে আলোচনা করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিজে। এই বিষয়ে যা বলার তিনিই বলবেন।ফলে সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেডের দিনেও জোটে ফাঁটলের ছবি থেকেই গেল।