অদ্ভুত চিত্রনাট্য! মমতার সঙ্গে বৈঠকে লালু পুত্র
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সংযুক্ত মোর্চার অংশ হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ব্রিগেডের মঞ্চে উপ্সথিত থাকার কথা ছিল আরজেডি নেতা লালু পুত্র তেজস্বী যাদবের। এমনকি ব্রিগেডের মঞ্চে ভাষণ রাখার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ব্রিগেডের মঞ্চে তেজস্বীর উপস্থিতি মেলেনি। বরং রবিবারেই বদলে গেল সমীকরণ।
কলকাতায় এসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বেশ কিছু নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন লালু পুত্র। এমনকি ২১ এর নির্বাচনে আরজেডির সঙ্গে জোট করতে চলেছে তৃণমূল। এমনটাই শোনা যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে।
সূত্রের খবর, রবিবার বেলেঘাটায় দুই দলের নেতৃত্বের বৈঠক হয়। এমনকি তেজস্বী যাদব নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সময় চেয়েছেন এটাও শোনা যাচ্ছে। সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে লালু পুত্রের মন্তব্য বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ মমতাই। এবারের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য দু থেকে তিনটি আসনের দাবী করতে পারেন তিনি।
অন্যদিকে ২১ এর নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মমতাকে লিখিত সমর্থন জানিয়েছে শরদ পাওয়ারের এনসিপি। একইসঙ্গে মমতার সঙ্গে জোটের জন্য বার্তা পাঠিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবও।
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেসের এক নেতা মোদি এবং দিদির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেঃ আব্বাস সিদ্দিকি
সূত্রের খবর, সোমবারেই তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল চারটের সময় হবে বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের।
এদিনেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকায় আরজেডি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
রাজনীতিতে তেজস্বীর সঙ্গে মমতার সুমধুর সম্পর্কের বিষয়ে ওয়াকিবহাল সকলেই। এর আগে ব্রিগেডের ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তেজস্বী। ধর্মতলার ধর্না মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমোর পাশে দাঁড়ান লালু পুত্র।
একইভাবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির অভূতপূর্ব ফলাফলের পরেই তাঁর পাশে দাঁড়ান মমতা। তাই এদিনের বৈঠক শুধুমাত্র দু’পক্ষের মধ্যে সৌজন্য বিনিময়ে আটকে থাকবে না। তা একাবারে বোঝাই যাচ্ছে।
এর আগে আসনরফা নিয়ে বৈঠকের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে আরজেডি, এনসিপি সহ অন্যান্য দলের সমর্থন রয়েছে। তাই আসন সংখ্যা নিয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি নন তাঁরা।
একইসঙ্গে এদিনেও আসনরফা নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। সোমবারেই দুই তরফের বৈঠকে পরিষ্কার হবে আগামী দিনের নির্বাচনে আরজেডির অবস্থান কোথায়। একইসঙ্গে কোন দলের সঙ্গে সম্পর্ক সুদূরপ্রসারী হবে, তা বোঝা যাবে এদিনেই।