জমির পাট্টা বিলিকে কেন্দ্র করে অশোক বনাম গৌতম তরজা,হস্তক্ষেপ জেলাশাসকের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জমির পাট্টা বিলিকে কেন্দ্র করে সরগরম শিলিগুড়ির রাজনীতি। শুরু হয়েছে সিপি(আই)এম বনাম তৃণমূলের তরজা।
নির্বাচন নির্ঘন্ট ঘোষণার দিনেই শিলিগুড়ির এবং কিছু জায়গায় জমির পাট্টা দেওয়ার কর্মসূচী করছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব। নির্বাচনবিধি চালু হওয়ার পর কীভাবে এই কাজ করা যায়? প্রশ্ন তুলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য।
অভিযোগ, ১০ বছর ধরে জমির পাট্টা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। অভিযোগ, ২০১০ সালে ৬৪১ জনের জমির পাট্টা দেওয়ার বিষয়ে সরকার অনুমোদন দেয়। সেখানে ডিসিআর কাটা হলেও সরকার তাঁদেরকে দেয়নি। এভাবে পাট্টা দেওয়া যায় না। দাবী বাম নেতার। তার পরিবর্তে মাত্র ২০২ জনকে পাট্টা দেওয়া হলে সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে বলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান তিনি।
শুক্রবার নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হওয়ার পরেও নিজের বিধানসভা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির ২০২ জন গৃহহীনকে পাট্টা দেওয়ার কর্মসূচী জারি রেখেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক গৌতম দেব। শিলিগুড়ি পুরসভার আরবান ডেভলপমেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন কমিটির অনুমতি রয়েছে বলে জানান রাজ্যের মন্ত্রী।
কিন্তু এবিষয়ে আপত্তি জানান শিলিগুড়ি পুরসভার পুরপ্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য। এবিষয়ে জেলাশাসককে চিঠি দেন তিনি। এরপরেই মন্ত্রীর পাট্টা বিলি বন্ধ করলেন জেলাশাসক।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচনে বিশেষ নজরদারি, জেলা ভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল এআইসিসি
অন্যদিকে জেলাশাসকের কাছে ইমেল এবং ফোনে অভিযোগ জানান, সিপি(আই)এম নেতা দিলীপ সিং। অভিযোগ, জমির পাট্টা দেওয়ার নাম করে রাজনীতি করছেন গৌতম দেব। জমির পাট্টা হিসেবে যে কাগজ তিনি সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন তা আসলে জমির পাট্টা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া চিঠি।
এবিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, আমার বিধানসভা এলাকায় যারা বসবাস করছেন তাঁদেরকে পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে না কোনও অসুবিধা হয়, বিধায়ক হিসাবে তার আইনত সার্টিফিকেট গত ১৫ দিন ধরে তিনি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণার আগের দিন অবধি তিনি এই কাজ করেছেন। কিন্তু সিপি(আই)এম বিধায়কের আপত্তিতে তা হয়নি।