“আমরা যখন তৃণমূলের হয়ে ভিন রাজ্যে প্রচার যেতাম, তখন বহিরাগত ছিলাম না?” – মমতাকে প্রশ্ন রাজীবের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শিওরে কড়া নাড়ছে নির্বাচন। বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। প্রার্থী ঘোষণার পরই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়বে বিজেপি এবং তৃণমূল সহ সমস্ত রাজনৈতিক দল।
তবে এবারের নির্বাচন আর পাঁচটা নির্বাচনের থেকে একেবারেই আলাদা। ইতিমধ্যেই শহর থেকে শহরতলী, জেলা থেকে গ্রাম সহ বিভিন্ন প্রান্তরে নিজেদের প্রচার জারি রেখেছে তৃণমূল-বিজেপি।
হাওড়াতে আজ বিজেপির পরিবর্তন যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, বৈশালী ডালমিয়া, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক জেলা নেতৃত্বরা। একদিকে যখন কলকাতায় পাঁচতারা হোটেলে চলছে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বৈঠক। তখনই হাওড়াতে পরিবর্তন যাত্রায় যোগ দিয়ে আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
আক্রমনাত্মক ভাষায় প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক নিশানা করে গেলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিরাগত তত্ত্ব থেকে ৮ দফা নির্বাচন- সবকিছুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরনো ইতিহাস আরও একবার মনে করিয়ে দিতে চাইলেন রাজীব।
বিজেপিতে শ্রাবন্তী – মমতার পথেই বিজেপি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে তারকা প্রার্থীর ইঙ্গিত !
একের পর এক জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র নিশানা করছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচন যতক্ষন না মিটছে ততক্ষণ তিনি বিশ্রাম নেবেন না। তাঁর দাবি, ২মে ফলাফলে দেখা যাবে এরাজ্য পদ্মের তুফান বইবে।
যদিও এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। বলেন, আগামী নির্বাচনে এরাজ্যে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়ে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেব শপথ নেবেন বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সন্দেহ রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুড় কেন্দ্র থেকে আদৌ বিজেপির প্রার্থী হয়ে জিততে পারেন কিনা সে বিষয়ে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেভাবে একের পর এক রাজনৈতিক সভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করছেন তাতে জমে উঠেছে রাজনৈতিক ময়দান। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন তাল কেটে ফেলছেন তাঁরা। প্রতিদিনের জনসভা থেকে একই মন্তব্য মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না।
তবে সময় বলে দেবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভবিষ্যত কোন দিকে মোড় নেবে।