জোটকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে বিজেপিকে সুবিধে করে দেওয়া হচ্ছে, আনন্দ শর্মাকে কড়া জবাব অধীরের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ এর নির্বাচনে বিজেপি এবং তৃণমূলকে পরাস্ত করতে একজতে হাত মিলিয়েছে বাম এবং কংগ্রেস। নতুন দল হিসাবে সংযোজন হয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের। এর আগে জোটের পক্ষে বার্তা দিয়ে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন লড়াই হবে ত্রিমুখী।

তারই অংশ হিসাবে ব্রিগেডে একই মঞ্চে দেখা গেল তিন দলের বেশ কিছু নেতাকে। যা ঘিরে দশ জনপথের মধ্যেই শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ।

আইএসএফ এবং ওই ধরনের কোনও পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট দলের মৌলিক বিচারধারা, গান্ধীবাদ এবং নেহেরুবাদী ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের পরিপন্থী। সোমবার বিকেলে রাজ্যসভার ডেপুটি লিডারের টুইটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হয় বিস্তর।

 

তিনি আরও বলেন, এধরনের কোনও জোটের ক্ষেত্রে ওয়াকিং কমিটির পরামর্শ নেওয়া দরকার ছিল।  ব্রিগেডের সমাবেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতি এবং সমর্থন লজ্জাজনক। এর জন্য তাঁকে কৈফিয়ত দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ বাইপাসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়

কংগ্রেসের নেতার এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। একাধিক টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় সিপি(আই)এমের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ জোট হয়েছে। কংগ্রেস এই জোটের একটি অংশ। বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পতন ঘটাতে বদ্ধপরিকর তাঁরা।

 

তিনি আরও বলেন, জোটে কংগ্রেস যতগুলি আসন দাবী করেছিল তা পেয়েছে। নিজেদের অংশ থেকেই কিছু আসন বামেরা নতুন দল আইএসএফকে দিয়েছে। এই জোটকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকেই শক্তিশালী করা হচ্ছে।

 

নিজের সতীর্থকে উদ্দেশ্যকে করে টুইটে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কংগ্রেসকে সমর্থন করে পাঁচ রাজ্যে প্রচার করা। সিলেক্ট গ্রুপের উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্য, মোদি ভোজনা বন্ধ করে ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং স্বাচ্ছন্দের উর্দ্ধে ভাবুন।

 

বাংলায় জোট নিয়ে কেন এমন মন্তব্য করলেন আনন্দ শর্মা? যা ঘিরে সোমবার থেকে শুরু হয় জল্পনা। জোটের বিষয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সম্মতি রয়েছে, তা টুইটারে জানিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক জিতীন প্রসাদ।

এমনকি আনন্দ শর্মাকে উদ্দেশ্যে করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর টুইট সাফ বার্তা দেয় জোটের বিষয়ে সম্মতি রয়েছে রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর।

সম্পর্কিত পোস্ট