দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর মেলেনি টিকা, বারাসাতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবারের পর মঙ্গলবারও রাজ্য জুড়ে ধাক্কা খেল কো-উইন অ্যাপ। ফলে সকাল থেকে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন হাসপাতালে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরী হয়।
মঙ্গলবার দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভ্যাকসিন না মেলায় বারাসাত সদর হাসপাতালে ভোটকর্মীদের বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের অভিযোগ সোমবার বারাসাত সদর হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও তারা ভ্যাকসিন পাননি। মঙ্গলবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও মেলেনি ভ্যাকসিন।
ধৈর্যচ্যুতি ঘটায় সুপারের ঘরের সামনে দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ দেখান তারা। সবশেষে ভোট কর্মীদের চাপের মুখে পড়ে হাসপাতালের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোন অ্যাপের মাধ্যমে নয় সরাসরি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ভোট কর্মীদের।
আপাতত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে হচ্ছে করোনার টিকাকরন। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তারাই মূলত নাম নথিভুক্ত করছিলেন ২৫০ টাকার বিনিময়।
অন্যদিকে সোমবার বারাসাত হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নিতে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিক্ষোভ দেখান দীর্ঘক্ষণ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
টিকা বিভ্রাটে বাতিল কো-উইন অ্যাপ, নাম নথিভুক্ত করা যাবে আরোগ্য সেতু অ্যাপে
তাঁরা জানান, কোন শৃঙ্খলা নেই টিকা নেওয়ার প্রক্রিয়ায়। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কখন ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে,কিভাবে পাওয়া যাবে তার কোন সঠিক নির্দেশ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
তাঁদের আরও অভিযোগ ছিল, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে বিকেল গড়ানো বলা হচ্ছে আগামীকাল আসার জন্য। প্রত্যেকেই বিদ্যালয় থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য অন ডিউটি ছুটি করে হাসপাতালে এসেছেন।
নির্বাচনের ভোট করাতে যাওয়া প্রত্যেক সরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই মত রেজিষ্ট্রেশন কপি নিয়ে বারাসাতের বসবাসকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারা বারাসাত জেলা হাসপাতালে যায়।
কিন্তু সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে যখন ভ্যাকসিন পায় না তখনই বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।