ভোটে জিতলে ফিরবে বিধান পরিষদ ইঙ্গিত মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যে তৈরি হতে পারে বিধান পরিষদ। শুক্রবার এমনই আশ্বাস দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বয়সের কারণে যে সব প্রবীণদের টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়নি, তাদের বিধান পরিষদে স্থান দেবে সরকার।

এদিন কালীঘাটের বাসভবনে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে তৃণমূলনেত্রী জানান, এবার ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকিট দেওয়া হয়নি। করোনার জন্য তাদের পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে কমিশন।

কমিশনের পদক্ষেপকে সম্মান জানিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘বয়সের কারণে যে সব প্রবীণ মানুষরা টিকিট পেলেন না, তাদের বিধান পরিষদে স্থান দেবে সরকার। ক্ষমতায় ফিরলে বিধান পরিষদ তৈরি করব।’ এই সিদ্ধান্ত নীতিগত কারণেই নেওয়া বলে দাবি করেন মমতা।

ইতিহাস বলছে,পশ্চিমবঙ্গে ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিধান পরিষদের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু ১৯৬৯ সালে আইন পাশ করে এই পরিষদের অবলুপ্তি ঘটানো হয়।

West Bengal Assembly Election বিজেপিতে যোগ দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী

যদিও ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনা হবে বাংলায়। কিন্তু সেটা হয়নি। ২০২১ সালে তিনি ফের আশ্বাস সেই একই আশ্বাস দিলেন৷ উল্লেখ্য, ভারতের একাধিক রাজ্যে বিধান পরিষদ রযেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, উত্তর প্রদেশ, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা। তাহলে কি এবার পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে বিধান পরিষদ।

এবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় মমতা জানান, নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে লড়বেন তিনি। সেজন্য সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব তিনি মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে দিয়েছেন। তিনি ভোটে লড়ছেন না। তেমনই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ভোটে লড়তে রাজি হননি।

তাঁর শরীর ভাল নয়। এছাড়া স্মিতা বক্সিকে কিছু কারণে টিকিট দেওয়া যায়নি। জটু লাহিড়ি, অমল আচার্যকেও টিকিট দিতে পারিনি। এদের বিধান পরিষদে স্থান দেওয়া হবে। এখন দেখার আগামীতে আদেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ দেখে কিনা।

সম্পর্কিত পোস্ট