ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কৃষক সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কৃষকদের সুরক্ষা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক শুরু ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। যার ভিডিও ফুটেজ একাধিক সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।  পাল্টা তোপ দাগল নয়াদিল্লি। বিতর্ককে ভুয়ো বলে দাবী করেছে ভারত। একইসঙ্গে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, একপক্ষ এই আলোচনার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা।

ভারতের এই প্রতিক্রিয়ার পর ব্রিটেনের তরফে বলা হয়েছে, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্রিটেন লেবার পার্টি, লিবারাল ডেমোক্র্যাট এবঙ স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সদস্যরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে এই বিতর্কসভা।

কৃঢকদের সঙ্গে নমনীয় না হয়ে বরং আন্দোলন দমাতে ভারত সরকার যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ওই ব্রিটেন পার্লামেন্টের সদস্যরা। একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের ওপরেও ভারত সরকারের কড়া পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু মইদুলের! ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই দাবী

পাল্টা ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে বলা হয়েছে। কোনোরকম সুদৃঢ় কোনও তথ্য ছাড়াই সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন বিতর্ক হয়েছে। যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।

একইসঙ্গে বলা হয়, একাধিক দেশের সংবাদমাধ্যম এমনকি বিদেশের কিছু সংবাদমাধ্যম আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। প্রথম থেকেই পুরো বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে। তাই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার কোনও প্রশ্নও উঠছে না। অর্থাৎ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বক্তব্যে খুশি নয় দিল্লি, তা একেবারে স্পষ্ট।

লিবারাল ডেমোক্র্যাট দলের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ গার্চ সিংহের আবেদনের ভিত্তিতে পার্লামেন্টে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। অনলাইনে আবেদনের পরেই পার্লামেন্টে বিতর্কের পক্ষে লক্ষাধিক লোক সায় দিয়েছিলেন।

তবে আইন নিয়ে আলোচনা নয়, আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী কৃষকদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করছি। তা শুরুতেই স্পষ্ট করে দেন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এমপি মার্টিন ডে। যেখানে বলা হয়, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা নিয়ে আলোচনা হয়।

একইসঙ্গে সাংবাদিক মনদীপ পুনিয়া এবং ধর্মেন্দ্র সিংহকে গ্রেফতারের বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়। সাংবাদিকদের গ্রেফতারিও উদ্বেগের বিষয় বলে দাবী করেন অনেকেই।

সম্পর্কিত পোস্ট