শেষ আলোচনার দুই মাস পরেও প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ? প্রশ্ন তুলছেন কৃষকরা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রায় চার মাসের অধিক সময় ধরে দিল্লি উপকন্ঠে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ২২ জানুয়ারির পর আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা দীর্ঘায়িত করেনি কেন্দ্র সরকার । পাল্টা একাধিক সংগঠনের তরফে কৃষকদের এই আন্দোলনকে লাগাতার তকমা লাগানো হচ্ছে । এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে বারবার।

দীর্ঘ আন্দোলনের পরেও সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না মেলায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন সর্বভারতীয় কিষাণ সভার নেতৃত্ব। সংগঠনের দাবী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জবাব দিতে হবে গত দুই মাস ধরে কৃষকদের সমস্যা কেন মেটাচ্ছে না সরকার? একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন আরএসেসের কাছ থেকে কৃষকদের জাতীয়তাবাদী শংসাপত্রের কোনও প্রয়োজন নেই।

সর্বভারতীয় কিষাণ সভার তরফে অভিযোগ, ব্যাঙ্গালুরুতে আরএসএসের বার্ষিক সম্মেলনে একটি রিপোর্টে আন্দোলনকারী কৃষকদের আন্দোলনে ‘দেশ বিরোধী’ এবং ‘সমাজ বিরোধী’ মানুষের উপস্থিতি রয়েছে।  কৃষকদের দাবী, আরএসএসের উচিত কারা এই ‘সমাজ বিরোধী’ এবং ‘দেশ বিরোধী’ তাঁদেরকে অবশ্যই  জনসমক্ষে নিয়ে আনা।

আরও পড়ুনঃ West Bengal Election: রাজ্যের সহমতের ভিত্তিতে হবে শিল্পায়ন, ইস্তেহারে স্পষ্ট বার্তা বামেদের

কৃষকদের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, দেশের একাধিক সংগঠনের মিলিত হয়ে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা গঠন হয়েছে। যারা একাধিকবার সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। আরএসএসের কাছ থেকে তাঁদের জাতিয়বাদী শংসাপত্রের কোনও প্রয়োজন নেই। যাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনও ভুমিকা ছিল না।

কৃষকদের সমস্যার সমাধানের জন্য সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা একাধিকবার সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংসদে তিন কৃষি আইন পাশ হয়েছিল। তারপর থেকেই আন্দোলন জারি রেখেছেন কৃষকরা। এর মধ্যে ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লি উপকন্ঠে জারি রয়েছে তাঁদের আন্দোলন। কৃষকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তাতে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি।

২২ জনুয়ারি কৃষকদের সঙ্গে শেষবারের মতো বৈঠক হয় সরকার পক্ষের। এরপর কেবিনেট বৈঠকে দেড় বছরের জন্য তিন কৃষি আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি রাখা হয়। কিন্তু তারপর থেকে কৃষকদের আন্দোলন জারি থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি।

কৃষকদের মুখ্য দাবী, ফসলের দামের ক্ষেত্রে নুন্যতম সহায়ক মূল্যকে আইনত স্বীকৃতি দিতে হবে। কিন্তু তাতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক ভুমিকা মেলেনি।

আন্দোলনরত কৃষকদের প্রশ্নও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর আগে বলেছেন কৃষকদের থেকে তিনি শুধুমাত্র একটি ফোন কলের দুরত্বে রয়েছেন। তবুও ২২ জানুয়ারির পর সরকারের তরফে আলোচনার অনুকুল পরিবেশ তৈরি করে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে না কেন?

সম্পর্কিত পোস্ট