বাধা উপেক্ষা করে মানুষের সমাগম স্বতঃস্ফূর্ততার প্রমাণ দিচ্ছেঃ মহম্মদ সেলিম

শুভজিৎ চক্রবর্তী

বসন্তের শেষে উত্তাপ বাড়ছে। ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই। আরও উত্তাপ বেড়েছে নন্দীগ্রামে। কারণ, একুশের নির্বাচনে ওই কেন্দ্র হটস্পট৷

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে টক্কর দিতে বামেদের তুরুপের তাস মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

শুক্রবার নন্দীগ্রামের প্রার্থী মীনাক্ষী মুখার্জী এবং চন্ডিপুরের বাম প্রার্থী অশীষ গুছাইতের প্রচারে সীতানন্দ কলেজ ময়দানে উপস্থিত হলেন সিপি(আই)এমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম এবং আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্বাস সিদ্দিকি।

এদিন দ্য কোয়ারিকে বাম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, ভরা দুপুরে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অসংখ্য মহিলা এবং যৌবনের সমাগম হয়েছিল এদিনের জনসভায়। ভরা প্লাবনের মতো উপচে পড়া মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রামে সিপি(আই)এম প্রার্থীকে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। দলের পতাকা লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। মানুষকে জনসভায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাকে উপেক্ষা করে মানুষ উপস্থিত হয়েছে। এর প্রভাব অঞ্চলে অঞ্চলে পড়বে।

২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের ঘটনার পর সংগঠন ভেঙে পড়ে বামেদের। দীর্ঘ সময়ের পর ধীরে ধীরে নন্দীগ্রামে আবার শক্ত হচ্ছে বামেদের দুর্গ। তাই হাল না ছেড়ে মাঠে নামলেন শীর্ষ নেতৃত্ব।

করোনা এবং লকডাউন পর্বে মানুষের অসুবিধার কথা উল্লেখ করে বিরোধীপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হন বাম নেতা। তিনি বলেন, দশ বছর বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে। বেকার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে বেইমানি করেছে।

তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে, মাওবাদীদের আর ভাড়াটে গুন্ডাদের নিয়ে এই শুভেন্দু অধিকারী বলেছিল মেদিনীপুর থেকে লালঝান্ডা উঠে যাবে। ন্যাকড়া হয়ে যাবে। আজ সেই শুভেন্দু তৃণমূলের ঝান্ডাকে ন্যাকড়া করে অমিত শাহের জুতো পালিশ করছে।

একইসঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বাম নেতার মন্তব্য, মমতা বন্দোপাধ্যায় বারবার নন্দীগ্রামে এসে ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন করেছেন। কিন্তু তা কোনও কাজে লাগেনি। কারণ আজও সাধারণ মানুষকে কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়। আজ অবধি হলদীয়া এবং নন্দীগ্রামকে সংযোগকারী সেতু হয়নি।

২০০৭ সালের নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পর বাম দুর্গের অবসানের পর একুশের নির্বাচনে কী ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বামেরা? আপাতত দ্বিতীয় দফার ভোটের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট