প্রধানমন্ত্রীর ‘দিদি’ ডাকে অসম্মানিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সরব তৃণমূল
দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করা নিয়ে এবার সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় সভা করতে এসে যেভাবে তার নামে টিপ্পনী করা হচ্ছে এর মাধ্যমে তৃণমূল সুপ্রিমো অপমান করেছেন— এদিন তা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া ও অভিনেত্রী অনন্যা চক্রবর্তী।
তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে শশী পাঁজা বলেন, “মমতাকে অপমান করেছেন মোদি । মহিলাদের অপমান করছেন প্রধানমন্ত্রী। তার জবাব বাংলার মানুষ দেবে।” অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়াও বলেন, “শুধুমাত্র তৃণমূল নেত্রীকে অপমান করা হয়নি বাংলার সমস্ত মহিলাদের অপমান করা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রীর হাত ধরেই গত ১০ বছরে নারীশক্তির উত্থান হয়েছে। এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের প্রতিটি পদক্ষেপেই অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয়। চরিত্রের বিশ্লেষণ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।”
এ দিন এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন অভিনেত্রী অনন্যা চক্রবর্তীও। অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমরা এমন একজনকে পেয়েছি যাঁর মহিলাদের প্রতি কোনও সম্মান নেই। তাঁর বিবাহিত জীবনেও সেটা স্পষ্ট। তিনি বিবাহিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন না নির্বাচনী ফর্মে। একটি রাজ্যে এসে সেখানকার নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি যেভাবে কথা বলছেন, যেভাবে টোন কেটে কথা বলছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং চিন্তার বিষয়।”
বয়াল ৭ নম্বর বুথের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীনঃ নির্বাচন কমিশন
এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই গুজরাটের নারীসুরক্ষার বিষয়ে কয়েকটি তথ্য তুলে ধরলেন অনন্যা চক্রবর্তী। সমাজকর্মী তথা চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্যা চক্রবর্তী এদিন পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখান, গুজরাটে প্রতিদিন চারটি করে ধর্ষণ হয়েছে। দৈনিক গড়ে ছটি করে অপহরণ হয়েছে। গত দুবছরে ৩ হাজারের বেশি ধর্ষণ রয়েছে। রাজধানী আমেদাবাদে ধর্ষণ সবচেয়ে বেশি।
জুন মালিয়া বলেন, আমি কখনও দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি এমন একটা দিন আসবে। ভাবতেও খারাপ লাগছে এভাবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, বাংলার প্রতিটি মা বোনকে অপমান করা হচ্ছে। দিদির হাত ধরে বাংলার নারীজাতিকে অপমান করা হয়েছে। সাতবার সাংসদ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ বছর ধরে তিনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। যে ভাবে ওঁকে প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করছেন, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, নরসীমা রাও, অটলবিহারী বাজপেয়ী, মনমোহন সিং-মনে পড়ছে না এভাবে কখনও কথা বলেছেন।