করোনা ঠেকাতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক নবান্নে, জেলাগুলিকে একাধিক নির্দেশ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়াতে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। রবিবারই রাজ্যে চার হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। অথচ মাস্ক পরার নিয়ম মানছেন না অনেকেই। কোভিড বিধিও মানা হচ্ছে না অনেক জায়গাতেই।
এই অবস্থায় সোমবার নবান্ন থেকে এক নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট হয়ে যাওয়া দশটি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানে করোনা ঠেকাতে ‘টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিটমেন্ট’—এই তিন ক্ষেত্রেই নতুন স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়েছে।
এদিন মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, গত বছর করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তার চেয়েও ২০ শতাংশ বেশি ব্যবস্থা নিতে হবে। সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো বদল করতে হবে। সেফ হাউসগুলোকে ফের সচল করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বিতর্কিত মন্তব্যের জের, জবাব চেয়ে দিলীপ ঘোষকে নোটিশ কমিশনের
কী কী বলা হয়েছে রাজ্যের কোভিড-স্ট্র্যাটেজিতে?
- সংক্রমণের নিরিখে কনটেইনমেন্ট জোন বাড়াতে হবে।
- কলকাতায় আরও বেশি মাইক্রোকনটেইনমেন্ট জ়োন তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে।
- টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে হবে।
- কলকাতায় এখন করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী।
- তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই দুই জেলা তো বটেই, কলকাতা সংলগ্ন জেলাগুলিতেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে।
- এ বছর সংক্রান্তি ও পয়লা বৈঠকের অনুষ্ঠানে কোনও জাঁকজমক চলবে না।
- ছোট করে উৎসব পালন করতে হবে। কোভিড গাইডলাইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
- কোভিড টেস্ট আরও বাড়াতে হবে রাজ্যে।
- বিশেষ করে রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর টেস্ট বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- করোনা টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়লে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক।
- করোনা আক্রান্তরদের সংস্পর্শে আসাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করতে হবে।
- তার জন্য কনট্যাক্ট ট্রেসিং বাড়াতে হবে।
- কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে শণাক্তদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোট বাজারে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সভা ও রোড শো করতে হলে কোভিড গাইডলাইন মেনে তা করারই নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
- মাস্ক পরা, সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
এ দিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, কোনও রাজনৈতিক দল ভোটের প্রচারে সভা বা মিছিল করলে সেখানে কোভিড বিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করে জানাতে হবে। জেলাশাসকের কাছে এ ব্যাপারে তথ্য জমা করতে হবে।