আংশিক লকডাউন মানাতে তৎপর পুলিশ, সকাল থেকে বিভিন্ন বাজারে চলল কড়া নজরদারি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে শহর কলকাতায় । তাই গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে রবিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকছে কলকাতার বেশ কিছু বাজার। কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের চেন ভাঙতে কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড এসোসিয়েশন এবার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতার বেশ কিছু বাজার চারদিন বন্ধ রাখার। ঠিক হয়েছে, টানা চার দিন বন্ধ রাখা হবে শহরের বেশ কয়েকটি প্রধান ও অপরিহার্য পণ্য সামগ্রীর বাজার।এমনটাই জানিয়েছেন ফেডারেশনের কর্তারা।

নিত্য ও অপরিহার্য দ্রব্যের বাজারগুলি খোলা থাকলেও চাঁদনী চক, প্রিন্সেপ স্ট্রিট,এজরা স্ট্রিট, ম্যাংগো লেন ও ক্যানিং স্ট্রিট ছাড়াও বেশ কিছু নিত্য ও অপরিহার্য পণ্য সামগ্রীর বাজার বন্ধ রাখা হবে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত। যদিও সেক্ষেত্রে খোলা থাকছে পোস্তা বাজার ও অন্যান্য কিছু বাজার যেগুলিতে খাদ্য দ্রব্য ও অন্যান্য অপরিহার্য সামগ্রীও পাওয়া সেগুলি।

এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড এসোসিয়েশন (CWBTA) । সংগঠনের প্রধান সুশীল পোদ্দার জানান, “আমাদের সকল ব্যবসায়ী সদস্যদের কাছে আমাদের আবেদন তারা যেন তাঁদের দোকান পাট বন্ধ রাখেন আগামী চারদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত।” তিনি আরও বলেন, যে হারে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ তাতে খুবই জরুরি বিষয় গোষ্ঠী সংক্রমণ ভাঙাটা। আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেদিক বিবেচনা করেই।

অন্যদিকে , করোনা নিয়ন্ত্রণে এবার নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। শুক্রবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, বার, সুইমিংপুল, বিউটি পার্লার, স্পা, স্পোর্টস কমপ্লেক্স গুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল।

তবে এই অবস্থায় খাবার, ওষুধ-সহ অন্যান্য সামগ্রীর হোম ডেলিভারি এখনই বন্ধ করছে না রাজ্য সরকার। এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে দিনের বাজার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকবে। সকালবেলায় বাজার খোলা থাকবে 7 টা থেকে 10 টা পর্যন্ত এবং বিকেল বেলায় বাজার খোলা থাকবে তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত। শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনের ভিত্তিতে যে সমস্ত দোকান দরকার যেমন মুদিখানা ওষুধের দোকান এগুলি খোলা থাকবে।

করোনার থাবা পুর্ব রেলে, বাতিল একাধিক ট্রেন

শনিবার সকালে ঘড়ির কাঁটায় দশটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই বারাসাত হরিতলা মোড়ে সমস্ত দোকানপাঠ বন্ধ করতে উদ্যোগী হল বারাসাত থানার পুলিশ। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী বারাসাত হরিতলা মোড় সংলগ্ন সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করতে ময়দানে নামল পুলিশ।

সমস্ত দোকানদারদের উদ্দেশ্যে পুলিশের বার্তা নিয়ম অনুযায়ী দশটা বেজে গেছে দোকান বন্ধ করে দিন, আবার বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটা দোকান খুলবেন। কে এন সি রোডের দোকান পাঠ সহ হরিতলা মোড়ের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দিল বারাসাত থানার পুলিশ।

রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী জনগণকে সচেতন করতে তৎপর লেকটাউন থানার পুলিশ। বাজারগুলিতে জনগণকে সচেতন করতে করা হলো মাইকিং। বাজার গুলির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা ঘোষণার পর সকাল হতেই তৎপর লেকটাউন থানার পুলিশ।

শনিবার সকাল হতেই লেকটাউন থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাজার ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় জনগণকে সচেতন করতে চলছে মাইকিং। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মত আংশিক লকডাউনে সাধারণ মানুষ যাদের সর্তকতা ও সচেতনতা বজায় রাখে এবং ক্রেতা ও বিক্রেতা প্রত্যেক যাতে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে তার জন্য সচেতনতা সচেতনতার বার্তা লেকটাউন পুলিশের।

বেশ কিছুটা অন্যরকম ছবি দেখা গেল বাগুইহাটি বাজারে। এই বাজারে অন্যান্য দিনের মতো দেখা গেল যথেষ্টই ভিড়। বেশিরভাগ বাজার করতে আসা লোকের মুখে মাস্ক ছিল। তবে ব্যতিক্রমী লোকও দেখা গেছে।  ক্যামেরা দেখার সঙ্গে সঙ্গেই কানের ঝোলানো মাস্ক লাগিয়ে নিচ্ছেন নিজের মুখে।

এই বাজার অঞ্চলে নেই কোন পুলিশি প্রচার বা নজরদারি। শাড়ির দোকান থেকে শুরু করে চা ব্যবসায়ী প্রত্যেকেই খুলে রেখেছে তাদের দোকান।। একটাই বক্তব্য দেখা যাক দশটার পরে কি হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট