করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউনের পথে কেন্দ্র ! সোমবারই সম্ভবত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশজুড়ে ক্রমশ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী গত 24 ঘন্টায় গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 3 লক্ষ 68 হাজার 147 জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে 3417 জনের। গত 24 ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন 3 লক্ষ 732 জন।
এখনো পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 1 কোটি 99 লক্ষ 25 হাজার 604। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন 1 কোটি 62 লক্ষ 93হাজার 3 জন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বীকার করেছেন দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার গুলিকে সুপ্রিমকোর্টের তরফে একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে কোন রোগীকে প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। পাশাপাশি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউনের চিন্তাভাবনা শুরু করতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে জাতীয় নীতি তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতে তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই জাতীয় নীতি মেনে চলতে হবে সমস্ত রাজ্য গুলিকে। শুধু তাই নয়, বাসস্থানের প্রমাণ বা পরিচয় পত্র দেখাতে না পারলেও রোগীকে কোনভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না।
একইসঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউ যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তাতে ক্রমশ আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হচ্ছে। একইসঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই লকডাউন জারি করা যথাযথ।
জেলবন্দী থেকেও জয় অখিলের
লকডাউনের ফলে মানুষের কি কি অসুবিধা হতে পারে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে লকডাউনে যাতে আর্থিক সমস্যায় না পড়েন সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য গত 24 ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা 50 টি দেশে পাওয়া মোট আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রের তৈরি টাস্কফোর্সের সদস্যরাও শৃঙ্খল ভাঙতে সম্পূর্ণ লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, টাস্কফোর্সে আইসিএমআর এবং এইমসের সদস্যরা বিগত এক সপ্তাহ ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছেন। এই শৃঙ্খল ভাঙতে অন্ততপক্ষে সম্পূর্ণ দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনার ঢেউ সর্বোচ্চভাবে আছে পড়তে পারে গোটা দেশে। প্রতিদিন আক্রান্ত হতে পারেন কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ মানুষ। সবটাই নির্ভর করবে সাধারণ মানুষের আচরণবিধি ওপর। প্রতিটি মানুষ যদি সঠিকভাবে করোনা বিধি অনুসরণ করে চলেন তবে মে মাসের শেষের দিকে করোনার ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে ওঠা সম্ভব হবে।
মোদি মেকিং থেকে চ্যাম্পিয়ন মমতা, মাস্টারমাইন্ড প্রশান্ত কিশোর
ইতিমধ্যেই দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, ওড়িশায় সম্পূর্ণ লকডাউন রয়েছে। আংশিক লকডাউন হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাবে। উত্তরপ্রদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে চলতি মাসে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও আংশিক লকডাউনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
গোটা দেশে করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউনের পথে হাঁটছে কিনা কেন্দ্র, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্ভবত সোমবারই নেওয়া হবে।