শপথ নিয়ে হিংসা বন্ধের বার্তা মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতিতে মাত্র 50 জন হাতেগোনা অতিথির উপস্থিতিতে শপথ নিলেন তিনি। এদিন সকাল দশটা কুড়ি নাগাদ রাজভবনে এসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কিশোর ও ফিরহাদ হাকিম।
ঘড়ির কাঁটা ধরে 10:45 এ শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বহু মানুষ এই রাজ্যের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তাদের সকলকে আমাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তার সরকারের প্রথম প্রায়োরিটি হল রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ করা। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরই কভিড নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, এদিন শপথ নিয়েই রাজ্য বাসীকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালও রাজ্যে অশান্তি বন্ধের জন্য ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘শান্তি বজায় রাখুন। আইন ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না, প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন না। বিশৃঙ্খল আচরণ করবেন না।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানিয়েছেন, ‘আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশকে বলেছি রাজ্যের হিংসাকে রুখতে ও কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে। ওনার উপর আস্থা রয়েছে।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ছোট বোন বলে সম্বোধন করেছেন রাজ্যপাল।
এদিন রাজভবনে শপথগ্রহণের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোটকুশলি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন রাজ্যপাল। তারপরে সবাইকে নিয়ে ফটো শেসন করেন রাজ্যপাল।
ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গিয়েছে রাজ্যজুড়ে অশান্তি শুরু হয়েছে। কোথাও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ঘর-দোকানপাট ভেঙে দেওয়া হয়। প্রায় ১২ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বিজেপি।