শীতলকুচির ঘটনার তদন্তে এসআইটি গঠন করল রাজ্য
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভার জোরপাটকি গ্রামের ১২৬ নম্বর বুথে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর। বুধবার শপথ নেওয়ার পরেই জেলা পুলিশ সুপার দেবশিস ধরকে সরিয়ে দেয় নবান্ন। বৃহস্পতিবার শীতলকুচির ঘটনার দায়িত্বভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হল।
সূত্রের খবর, শীতলকুচির ঘটনায় এবার তদন্তের জন্য স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হয়েছে। যার দায়িত্বে থাকবেন গোয়েন্দা বিভাগের ডিআইজি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে তলব করেছে এসআইটি।
এর আগে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে প্রাক্তন পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। পরে অবশ্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার সরিয়ে দেওয়া হয় ওই এসপিকে।
কোচবিহারের শিতলকুচির ঘটনাকে কেন্দ্রও করে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে পুলিশ সুপারের দিকে আঙুল তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, এসপি বিজেপির হয়ে কাজ করছে। বিজেপি খুন অত্যাচার করছে। সবথেকে বেশী অত্যাচার কোচবিহারে হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি।
শপথ নেওয়ার পর জেলার পুলিশ সুপার পদে আনা হয় কে কান্নানকে। এবার শীতলকুচির তদন্তভার তুলে দেওয়া হল রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে।