স্থায়ীকরণের দাবিতে ধর্না, চরম অচলাবস্থা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে
স্থায়ীকরণ সহ ১০ দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা লাগিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে অস্থায়ী কর্মীরা। অস্থায়ী কর্মীদের এই আন্দোলন নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ব্যানারে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল গেটে তালা লাগিয়ে ধর্নায় তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতি। যার জেরে তৈরী হয়েছে চরম অচলাবস্থা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
স্থায়ীকরণ সহ ১০ দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা লাগিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে অস্থায়ী কর্মীরা। অস্থায়ী কর্মীদের এই আন্দোলন নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
তাদের অভিযোগ এই আন্দোলনের ফলে তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। সামনেই পরীক্ষা। আর এই অচলাবস্থা চলায় পরীক্ষার আগে তারা সমস্যায় পড়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ভাইরাল অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি, মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন কলেজ পড়ুয়া
অচলাবস্থা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন, এর আগেই অস্থায়ী কর্মীদের বেশির ভাগ দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। কিন্তু তারা এমন কিছু দাবি করছে যা আইনে নেই। আইনের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা তো কিছু করতে পারি না।
বিজেপির মালদা জেলা সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা আছে। আর সেই টাকা তছরুপ করার জন্য শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের আন্দোলনে মদত দিচ্ছে।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ বলেন এই অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে এটাই সম্পূর্ণ অবৈধ। এই বিশ্ববিদ্যালয় একটা দুর্নীতির আখড়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরিজিৎ দাস বলেন সামনে পরীক্ষা। পরীক্ষা ব্যবস্থায়, এই অস্থায়ী কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই আন্দোলনের ফলে পরীক্ষা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে।
এদিকে তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চালানো হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল শিক্ষক সমিতির গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শুভায়ু দাস।
যদিও তৃণমূলের মালদা জেলার কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন বিরোধীরা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। তবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ধরনের আন্দোলন হচ্ছে তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো যোগ নেই।