অসমের গদিতে কাকে বসানো হবে? উত্তর খুঁজতে গুয়াহাটিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

দ্য কোয়ারি ওয়েব ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছিল তাঁর হাত ধরেই। ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে দলের কাছে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তখনকার দলের প্রধান সেনাপতি অমিত শাহের কথায় আবার উত্তর-পূর্বের দায়িত্বভার নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন।

রবিবার গেরুয়া শিবিরের বৈঠকে তাঁকেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী করবে দল? নাকি সর্বানন্দই থাকছেন মুখ্যমন্ত্রীর আসনে? সাত দিন পরেও মিলছে না উত্তর।
তিন দফার ১২৬ টি আসনের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় যে এনডিএ সরকার আসতে চলেছে তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন বিজেপি নেতারা।

কিন্তু সমস্যা হল মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে। কারণ, দলের মধ্যে স্বচ্ছ মুখ যেমন সর্বানন্দ সনোয়াল, তেমনই জনপ্রিয়তার দিকে থেকে কোনও অংশেই কম নন হেমন্ত বিশ্বশর্মা।

শনিবার দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠক হয় সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে। তবুও প্রশ্নের মেঘ সরছে না কিছুতেই। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃতের তরফে স্থির হয়েছে, গুয়াহাটিতে গিয়ে মিত্র জোটের বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে অসমের পর্যবেক্ষক নরেন্দ্র সিং তোমার, দলের সাধারণ সম্পাদিক বিএল সন্তোষ, অরুণ সিংহ এবং বৈজয়ন পাণ্ডা। বিধানসভায় সেই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে বিজয়ী বিধায়কদের বৈঠকে। আপাতত এই বার্তা দিয়েছে হেমন্ত। বিধানসভায় ৪০ জনের সমর্থন রয়েছে বলে দাবীও করেন তিনি৷

কংগ্রেসে থাকাকালীন বিধায়কদের সম্মতি থাকা সত্ত্বেও হাইকম্যান্ডের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি হেমন্ত। দল ভেঙে ২০১১ সালে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনেন তিনি। শুধুমাত্র অসম নয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ে সরকার গঠনে বিরাট ভূমিকা ছিল হেমন্তের।

কিন্তু সংঘের নির্দেশ এবং সর্বানন্দের কুট কৌশলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী থেকে দূরে থেকেছেন তিনি। এবার কী শিকে ছিঁড়বে হেমন্তের? সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।

সম্পর্কিত পোস্ট