করোনা আবহে রবীন্দ্র স্মরণ মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার ২৫ শে বৈশাখ। কোভিড আবহে গত বছরের মতো এবারেও ফিকে হয়েছে বাঙালির গর্ব, বাঙালির অহংকার, বাঙালির পরিচয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস পালনের অনুষ্ঠান। এবারে কবির ১৬০তম জন্মবার্ষিকী।
তবে সেই বার্ষিকীর উদযাপন এবারেও থাকছে সীমিত পর্যায়ে। হচ্ছে না কোনও জমকালো অনুষ্ঠান, সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। সরকারি বা বেসরকারি স্তরে যেটুকু হচ্ছে তা নমো নমো করেই। এমনকি শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী, রবীন্দ্রভারতী সর্বত্রই যথাযথ শ্রদ্ধা সহকারে খুবই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান হচ্ছে। কবিকে এদিন শ্রদ্ধা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কবিগুরুর ১৬০ তম জন্মদিবস উপলক্ষে এদিন তিনি ট্যুইটারে লেখেন, চিরনূতনেরে দিল ডাক, পঁচিশে বৈশাখ । বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবসে শ্রদ্ধা ও প্রণাম। ওনার আদর্শই আমাদের পাথেয় হয়ে উঠুক, এই কামনা করি।
প্রতি বছররের মতো এবারেও রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে।
কিন্তু কোভিড আবহে গতবছরের মতোই তা সীমাবদ্ধ রাখা হয় বিশেষ কিন্তু আমন্ত্রীত অতিথিদের মধ্যেই। এদিন জোড়সাঁকোতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
মাল্যদান করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে ফিরহাদ বলেন, ‘আমরা বাঙালি। যবে থেকে জ্ঞান এসেছে, তবে থেকেই রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করে এসেছি। যখন খুব ছোটো ছিলাম, তখন বাড়ির ছাদে চার-পাঁচটা ইট দিয়ে বেদি বানিয়ে, পাড়ার দোকান থেকে ছোট্ট ফোটো কিনে রবি পুজো করতাম। তখন বুঝতামও না রবীন্দ্রজয়ন্তী কী! কিন্তু বাঙালি পরিবারে জন্মেছি, ছোট থেকেই এই কাজটা করেছি। তারপর বড় হয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে মনে হত উৎসবের দিন। এখন একটা এমন পরিস্থিতি, যেন মানুষ মানুষকে দেখলে ছিটকে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ নিয়ে যে উল্লাস, তা এবার নেই।’
এদিন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ঠাকুরবাড়ির অন্দরে এবছর কারো প্রবেশাধিকার না থাকলেও যারা বাইরে থেকে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন, তাঁরা জোড়াসাঁকোর বাইরের মূর্তিতে মাল্যদান করতে পারবেন।
কোভিড আবহে এবার রবীন্দ্রজয়ন্তীর সরকারি মূল অনুষ্ঠান হয়েছে রবীন্দ্র সদনের পাশে ক্যাথিড্রাল রোডে। তবে করণা আবহে এখানে সাধারন মানুষের উপস্থিতি ছিল নিষিদ্ধ। সরকারি আধিকারিক ও সীমিত কয়েকজন শিল্পীর উপস্থিতিতেই এখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানান।