কে হবে বিরোধী দলনেতা? হেস্টিংস কার্যালয়ে চলছে বৈঠক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণের দিনই দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে বিরোধী দলনেতা নির্বাচনে বৈঠকে বসলেন বিজেপি নেতৃত্বরা। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ভূপেন্দ্র যাদব।
বয়সজনিত কারণে বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে নেই। সংবাদমাধ্যমে এমনটাই দাবি মুকুল রায়ের। তাঁর কথায়, লড়াকু নেতাকেই বিধানসভায় বিরোধী দলের মুখ করা হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুকুল রায় সেই দৌড়ে নিজে থেকে না থাকায়, সেখানে এগিয়ে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী।
সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ নন্দীগ্রাম থেকে জয়ী শুভেন্দু অধিকারীকেই বিরোধী দলনেতা করতে চাইছেন। কিন্তু আপত্তি রয়েছে সঙ্ঘ নেতৃত্বের। কারণ গোটা নির্বাচনে যেভাবে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের নিশানা করেছেন শুভেন্দু এবং একাধিক সভা থেকে যে মন্তব্য তিনি করেছিলেন তাতে বেশকিছুটা ব্যাকফুটে গিয়েছে বিজেপি।
সঙ্ঘ নেতৃত্বের দাবি, অনেক জাতীয়তাবাদী মুসলিম ভোটার বিজেপির থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। যার ফলে বিজেপিকে চরম মূল্য চোকাতে হয়েছে ২১ এর নির্বাচনে।
সেক্ষেত্রে বালুরঘাট থেকে নির্বাচিত অশোক লাহিড়ি, শান্তিপুর থেকে জয়ী জগন্নাথ সরকার কিংবা মাদারিহাট থেকে জয়ী মনোজ টিগ্গার নাম নিয়েও নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম, আজই রাজ্যে আসছে সাড়ে ৩ লক্ষ কোভিশিল্ড
তবে মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে বিরোধী দলনেতা না করে মুখ্য সচেতক করা হতে পারে বলে রাজ্য বিজেপির এক নেতা রবিবার রাতে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিধানসভার নবীন বিধায়কদের বিধানসভায় নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির অন্দরে টানাপোড়েন অব্যাহত।এবারের নির্বাচনে জয়ী অধিকাংশ বিধায়কই বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায়কে দলনেতা হিসেবে চাইছেন।
সূত্রের খবর, মুকুলের নামে আপত্তি রয়েছে খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি চান, দলবদলু কোনও নেতা নন, সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ এবং আদি বিজেপি কোনও নেতা দায়িত্ব পান। মুকুল রায় নিজেও বিরোধী দলনেতা হওযার দৌড়ে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
এখন দেখার শেষ পর্যন্ত শিকে ছেঁড়ে কার ভাগ্যে?