রেড রোডে হচ্ছে না ঈদের নামাজ, ধর্মীয় জমায়েতে ৫০ জনের বেশি অনুমোদন নয়
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে পাশে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সরকার বারবার বলছে, ধর্ম যার যার নিজের, তবে উৎসব সবার।কিন্তু করোনা আবহে এই উৎসব পালনের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,করোনা আবহে ঈদের মুখে ৫০ জনকে নিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হল। একইসঙ্গে তিনি সমস্ত মুসলিম ধর্ম গুরুদের কাছে আবেদন করেছেন, করোনা আবহে নিয়ন্ত্রিতভাবে ঈদের উৎসব যেন তারা পালন করেন, এই বিষয়ে তারা যেন সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানান। গতবছর ঈদে ঠিক যেভাবে সাধারণ মানুষ সরকারকে সাহায্য করেছিল এবারও একই ভাবে তাদের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাহায্য চেয়েছেন।
এদিন নবান্নের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইমাম-এ-ঈদাইন ক্কারী ফজলুর রহমান, ছিলেন নাখোদা মসজিদের ইমাম শফিক কাসেমি। এছাড়া ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী রামকৃষ্ণ মিশন, বিভিন্ন সম্প্রদায় ধর্মগুরুরা। মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেন। রামকৃষ্ণ মিশনের এক প্রতিনিধি বলেন, “রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে কোভিড রোগী রাখা শুরু হয়েছে। অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে। বেলুড়ের পলিটেকনিক কলেজে সেফ হোম তৈরি হচ্ছে।
অক্সিজেন, চিকিৎসক, নার্সদের আয়োজন করা হয়েছে।” এদিকে করোনা মোকাবিলায় ভারত সেবাশ্রমের জোকার হাসপাতাল পাওয়া গিয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রেড রোডে নমাজ না করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে পাকসার্কাসেও নমাজ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাদের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে এখনই সম্পূর্ণ লকডাউন নয়, তবে লকডাউনের মতো সতর্কতা দরকার : মুখ্যমন্ত্রী
এদিন খ্রিস্টান সমাজের প্রতিনিধি ফাদার ফেলিক্সরাজ বলেন, করোনার এই অতিমারীর মধ্যে তারা সরকারের পাশে আছে। একইভাবে সরকারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন, ভবানীপুর গুরদ্বারা কমিটি।
মুখ্যমন্ত্রী তাদের সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মতো করে কাজ করতে। এ দিন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরাও। ছিল পোস্তা ব্যবসায়ী সমিতির লোকেরা। মুখ্যমন্ত্রী তাদের গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। যে শ্রমিক কর্মচারীরা পোস্তাতে কাজ করে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থাও তিনি করার জন্য অনুরোধ করেন।