সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হোক, লালবাজারে হাজির তৃণমূল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমুল কেন, বিজেপির শুভেন্দু মুকুল নয় কেন? সোমবার সকালে রাজ্যের দুই মন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে সিবিআই গ্রেফতারির পরেই এই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টিকে বেআইনি দাবী করে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।

দুই পাতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দিকে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য। বিনা এরেস্ট ওয়ারেন্টে কীভাবে তাঁদের গ্রেফতারি করা হল? প্রশ্ন উঠেছে ওই চিঠিতে। সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে লালবাজারকে।

তৃণমূল মুখপাত্র দাবী করছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় দুই বিজেপি নেতার নাম থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁদেরকে এখনও গ্রেফতার করা হল না? আবার সিপি(আই)এমের রাজ্যসভার সাংসদ বলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবী তুলছেন, শুধুমাত্র এই চারজন নয়, নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ প্রসুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদার এবং সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে স্পিকারের অনুমোদন নিয়ে চার্জশিট তৈরি করা হোক।

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজাম প্যালসের ১৫ তলায় সিবিআইয়ের দফতরে উপস্থিত হয়েছেন। দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়কের গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবী করছেন তিনি। সেইসঙ্গে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবী তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।­

প্রশ্ন এখানেই, বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমোদন ছাড়া বিধায়কদের গ্রেফতারি সম্ভব। সিবিআইয়ের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, রাজ্যপালের অনুমোদন পেয়েই তাঁরা এই কাজ শুরু করেছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বক্তব্য, নারদকাণ্ডের সময় এরা ছিলেন মন্ত্রী। যেহেতু মন্ত্রীসভার শপথ রাজ্যপালের উপস্থিতিতে হয় তাই রাজভবনের অনুমতিতে চার্জশিট তৈরি করা সম্ভব।

সম্পর্কিত পোস্ট