তৌকতের দাপটে গুজরাত সহ চার রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
সমস্ত শক্তি নিয়ে অবশেষে গুজরাট উপকুলে আছড়ে পড়ল ঘুর্ণিঝড় তৌকত। ঘুর্ণিঝড় তৌকতের জেরে উপড়ে গেল ল্যাম্পপোস্ট, গাছ। ১৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগ যুক্ত ঘুর্ণিঝড়ের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি উপকুলবর্তী এলাকায়৷
সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ গুজরাত উপকুলে আছড়ে পড়ে ঘুর্ণিঝড়। প্রথমে এর গতিবেগ ছিল ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। পরে এর গতিবেগ দাঁড়ায় ১৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। মধ্যরাত অবধি চলে তৌকতের দাপট। ধীরে ধীরে গতি হারায়। দিউ উপকুলে এর গতিবেগ ছিল ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা৷
মহারাষ্ট্রে ঘুর্ণিঝড় তৌকতের জেরে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৯ জন। গোটা বিষয়টা তদারকি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধভ ঠাকরে। গাছপালা সরিয়ে দেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব শহর মুম্বইয়ের ব্যাপকভাবে পড়ে৷ এখানে গতিবেগ ছিল প্রায় ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। সেইসঙ্গে চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত।
কয়েক ঘন্টা বন্ধ ছিল বিমান পরিষেবা। জলমগ্ন হয়ে পড়ে নীচু এলাকাগুলি।
কর্ণাটকে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে আট জনের মৃত্যু হয়েছে৷ কর্ণাটকের সাত জেলার ১২১ টি গ্রাম ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘুর্ণিঝড় তৌকতের কারণে কেরলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫০০ টি বাড়ি। এমনটা টুইট করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
গুজরাতে ঝড়ের প্রভাবের আঁচ পাওয়ার আগেই প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ উদ্ধারকাজে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট বাহিনী। মঙ্গলবার সকাল অবধি চলে উদ্ধারের কাজ। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়।