করোনা চিকিৎসায় বাদ প্লাজমা থেরাপি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বেসামাল দেশ। ভেঙে পড়েছে চিকিতসা পরিকাঠামো। প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে চিকিতসকদের। করোনার করাল গ্রাস থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউই। এরইমাঝে টিকা নিয়ে গোটা দেশে তৈরী হয়েছে শূন্যতা।
কঠিন পরিস্থিতিতে করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীর প্লাজমার উপর ভরসা রেখে চিকিতসা পরিকাঠামো সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন চিকিতসকেরা। তবে বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন করোনা আক্রান্তদের প্লাজমা থেরাপি করার পরেও মিলছে না ফল। তাই কোভিড চিকিতসার প্রটোকল থেকে বাদ দেওয়া হল প্লাজমা থেরাপি।
শুক্রবার এই নিয়ে বৈঠক করে ICMR এবং ন্যাশনাল টাস্কফোর্স। এইমস, আইসিএমআর, কোভিড১৯ ন্যাশনাল টাস্কফোর্স ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের যৌথ মনিটরিং গ্রুপের সুপারিশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতদিন মৃদু করোনা সংক্রমনের ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রথম স্তরে প্লাজমা থেরাপি অফ লেভেল প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
গতবছর করোনা পরিস্থিতিতে প্লাজমা থেরাপির কথা প্রথম সামনে আসে। সুস্থ হয়ে ওঠা কোভিড রোগীর রক্ত থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করে তার অবস্থা গুরুতর হওয়া থেকে রক্ষা সম্ভব হয়নি। কমেনি মৃত্যুহার।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশঃ আমফানের থেকেও হয়ে উঠতে পারে শক্তিশালী, মত আবহবিদদের
এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকদের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বিজয়রাঘবনকে চিঠি পাঠান।সেই চিঠিতে প্লাজমা থেরাপি অযৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করেন তারা। চিঠিতে বলা হয় বর্তমান গবেষণার পর যে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে স্পষ্ট করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা প্রয়োগ করে কোন উপকার মেলেনা।
শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের প্লাজমা থেরাপি ট্রায়ালে কনভালেসেন্ট প্লাজমার তেমন কোনও ভূমিকা দেখা যায়নি। দেখা গেছে প্লাজমা ছাড়া করোনা চিকিতসায় মারা গিয়েছিলেন ১৮% রোগী। প্লাজমা থেরাপি পেয়ে মারা যান ১৯% রোগী।
এই পরিস্থিতিতে সোমবারই বাজারে এসেছে DRDO এর তৈরি করোনার ওষুধ। অ্যান্টি কোভিড ১৯ ড্রাগ 2DG এর ১০ হাজার ডোজ তৈরি হয়ে গিয়েছে। সোমবার তা প্রকাশ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি ও ডিআরডিও যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ওষুধের নাম 2-DG । ওষুধটি অনেকটা গ্লুকোজের মতো। পাউডার হিসেবে পাওয়া যাবে। খেতে হবে জলে গুলে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরে DCGI এই ওষুধটিকে অনুমোদন দিয়েছে।