আগামী শুক্রবার থেকেই রাজ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন প্রকল্প’

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। মঙ্গলবার এই নিয়ে খাদ্য ভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন খাদ্য সচিব ও ফুট কমিশনার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রেশন ডিলার সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

প্রত্যেক জেলা থেকে খাদ্য ভবনের আধিকারিকরা এই বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন। আপাতত প্রত্যেক জেলায় একটি করে রেশন দোকানে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প চালু হতে চলেছে। তবে ভৌগলিক কারণেই আপাতত পাহাড়ে এই পরিষেবা শুরু হচ্ছে না৷ সব মিলে কলকাতায় ছটি এবং জেলায় 22 টি দোকান নির্বাচিত হয়েছে।

এই রেশন দোকান গুলি থেকে রেশন ডিলার একটি পারা বা একটি গ্রামকে পরীক্ষামূলকভাবে ধরে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেবেন। যেহেতু এই মুহূর্তে করোনা মহামারী প্রকোপ সাংঘাতিক আকারে দেখা দিয়েছে তাই গোটা প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হবে কভিড বিধি মেনে।

বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার পর উপভোক্তা এবং রেশন ডিলারদের কি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আগামী সোমবার আরো একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই দুয়ারে রেশন প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়িত করা যায় সে বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে।

রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে দিল্লিতে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তার নির্বাচনী ইশতেহারে এই দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ঘোষণা কে বাস্তবায়িত করতে কভিদ অতিমারীর মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে দুয়ারে রেশন প্রক্রিয়া চালু করতে চলেছে খাদ্য দফতর।

এদিনের বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই প্রকল্প চালানোর জন্য প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা করে রেশন ডিলারদের কমিশন দিতে হবে৷ প্রথম ১৫ দিন রেশন দোকান থেকেই এই প্রকল্পের জন্য় জিনিস নিয়ে সরবরাহ করবেন রেশন ডিলাররা৷ প্যাকেজিং বাবদও আলাদা খরচ দেবে রাজ্য৷

তবে ভৌগলিক কারণেই এখনই উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এবং দুর্গম এলাকাগুলিতে এই প্রকল্প চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম৷ রাজ্য সরকার মনে করছে, করোনা অতিমারির মধ্যে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে পারলে অনেকটাই উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ৷ পাশাপাশি এর মাধ্যমে নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতিও দ্রুত পূরণ করা সম্ভব হবে৷

সম্পর্কিত পোস্ট