এবার এজিএমইউটির আওতায় নিয়োজিত হবেন জম্মু-কাশ্মীরের আইপিএস, আইএফএস এবং আইএএস অফিসাররা
।। তারিক আলি মীর ।।
জম্মু কাশ্মীরের সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করল কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরিবর্তে জম্মু-কাশ্মীরকে এজিএমইউটি অর্থাৎ অরুণাচল প্রদেশ গোয়া অ্যান্ড মিজোরাম ইউনিয়ন টেরিটোরিসের অন্তর্ভুক্ত করা হল। ফলে এর আগে অন্যান্য রাজ্যগুলির মত জম্মু-কাশ্মীরের যুবসমাজ যেমন ইউপিএসসি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে পারত, এখন থেকেই সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল।
সরকারি সূত্রের খবর, বুধবার একটি নোটিশের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে আনে কেন্দ্র সরকারের কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ। যেখানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় এবার থেকে এজিএমইউটির আওতায় পড়বে জম্মু-কাশ্মীর। সেইসঙ্গে এও জানানো হয়, যে সমস্ত পরীক্ষার্থী ২০২০ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে সিভিল সার্ভিস পরিক্ষায় উত্তির্ণ হয়েছে, তাঁদেরকে পুণরায় এজিএমইউটি ক্যাডারের জন্য আবেদন করতে হবে। সেখানে থাকা খালি পদ অনুযায়ী তাঁদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।
৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একাধিক স্বপ্ন দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে সাফ বলা হয় জম্মু-কাশ্মীরের আইএএস, আইপিএস এবং আইএফএস পদের জন্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। আলাদা করে এজিএমইউটির আওতায় জম্মু-কাশ্মীরকে ফেলা হবে না। এমনকি ২০১৯ সালে যাদের নিয়োজিত করা হয়েছে । কিন্তু যারা ২০২০ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় যোগ্য হিসাবে প্রমাণিত হয়েছেন, তাঁদেরকে পুণরায় এজিএমইউটি আওতায় আনা হবে। সূত্রের খবর, যতদিন অবধি জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পাবে, ততদিন এই ধারা বজায় থাকবে।
২০১৬ সালে জম্মু-কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের জন্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৫ বছরের বয়ঃসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় কেন্দ্রীয় কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ। কিন্তু তৎকালীন বিজেপি এবং পিডিপি সরকারের বনিবণায় তা আটকে পড়ে। এমনকি কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগের তরফে এই ইস্যুকে একাধিকবার তোলা হলেও তেমন গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কংগ্রেস। কিন্তু এজএমইউটির আওতায় আবেদনকারীদের পাঁচ বছরের বয়ঃসীমা বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের ততফে জানাও হয়েছে, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তির্ণ হওয়ার সত্বেও জম্মু-কাশ্মীরের যুবকদের চাকরী পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যেত। তাই তাঁদের অনেক সময় জম্মু-কাশ্মীরের পরিবর্তে অন্য কোনও রাজ্য বেছে নিতে হত।
যদিও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে চাকরী পেতে চলেছেন প্রচুর যুবক-যুবতী। ১১ ফেব্রুয়ারি এবিষয়ে সংসদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এমনটাই খবর।