Narada Case LIVE Updates: রাজ্য বনাম সিবিআই মামলায় আইনজীবিদের তরজা
কোনও আদালত অভিযুক্তদের বিনা নোটিশে জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করতে পারে নাঃ সিংভি
সিংভির অভিযোগ, অভিযুক্তরা ২০১৪ সালের স্ট্রিং অপারেশনের কোন তথ্য নষ্ট করেছেন যে তাঁদেরকে এই সময় এত চটজলদি গ্রেফতার করতে হচ্ছে?
সিংভিঃ নিম্ন আদালতের তরফে কোথাও বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার কথা বলা হয়নি।
তুষার মেহতাঃ আমি বলেছি সিবিআইকে ভার্চুয়াল শুনানির জন্য বাধ্যনকরা হয়েছে।
সিংভিঃ স্পেশাল আদালতের বিচারপতির কোথাও সেই কথা উল্লেখ করেননি।
প্রধান বিচারপতিঃ স্পেশাল আদালতের বিচারপতির উচিত ছিল গোটা বিষটার রেকর্ডে জোরপুর্বক কথাটির উল্লেখ করা। তিনি তো সেরকম কিছু আভাস দেননি।
এরপরেই প্রধান বিচারপতির কাছে জামিনের জন্য আবেদন জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতিঃ প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিসে গিয়ে বসে থাকলেন আর আইনমন্ত্রী আদালতে উপস্থিত হলেন আপনি বলছেন এটা সঠিক?
সিংভিঃ সিবিআইয়ের আইনি কাজে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? গণতান্ত্রিক পথে বিরোধিতা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিসে উপস্থিত হয়েছিলেন।
প্রধান বিচারপতিঃ আইনমন্ত্রী কী শুনানি চলাকালীন কোর্টে উপস্থিত ছিলেন? অন্য কাউন্সিলের তরফে বলা হয়, উনি কোর্ট রুমের মধ্যে নয়। তবে কোর্ট কমপ্লেএক্সের মধ্যে ছিলেন।
সিংভিঃ মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী সকলেই একজন বিধায়ক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতিঃ একজন বিধায়ক এবং মন্ত্রীর মধ্যে ফারাক থাকে৷
সিংভিঃ কিন্তু কোর্ট কমপ্লেক্সে উপস্থিত থেকে বিচারপতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন আইনমন্ত্রী সেই তথ্য কিছু রয়েছে?
প্রধান বিচারপতি সিংভিকে প্রশ্ন করেন, তার মানে আপনি বলতে চাইছেন আন্দোলন এবং জামিনের মধ্যে কোনও যোগ নেই কারণ আন্দোলন বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনও আঘাত আনেনি।
জবাবে অভিষেক মনু সিংভি বলেন সিবিআই সিবিআই আন্দোলনের বিষয়টাকে অজুহাত হিসেবে দেখছে।
প্রধান বিচারপতিঃ তবে জনপ্রতিনিধিদের কাজ জনতাকে কোনও বিষয়ে উত্তেজিত করে ছড়িয়ে দেওয়া।
জবাবে সিংভি বলেন, সকলেই নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী কোনওরকম বিশৃঙ্খলা না ঘটিয়ে গান্ধী নীতি অবলম্বন করে আন্দোলন করে গিয়েছেন৷
তবে পাথর ছোঁড়া কি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন? প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। জবাবে সিংভি বলেন, ছয় ঘন্টা পর মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিস থেকে বেরিয়ে সকলকে শান্ত থাকার কথা জানান। সিবিআইয়ের নোটিশে এসবের উল্লেখ নেই।
প্রধান বিচারপতিঃ আপনি বললেন, মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পর রাস্তায় আন্দোলন কী সঠিক পথ?
সিংভি উত্তর বলেন, গোটা প্রক্রিয়াটি সাংবিধানিক এবং আইনি পথে চলা দরকার। আদালতে মামলা চললে বাইরে আন্দোলন করা যাবে না এটা হয় না। এর জন্য কৃষক আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেন সিংভি।
আগামীকাল মামলার শুনানি হতে পারে প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি। অভিযুক্তরা সকলেই হাসপাতালে। সেইজন্য এক দু’দিন সময়ের দরকার।