টিকা নিয়ে রাজ্যবাসীর মনে তৈরী হয়েছে ধোঁয়াশা, প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করতে না পেরে সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ৷ সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দেশের ১০ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷ এছাড়াও ছিলেন রাজ্য ও জেলাস্তরের আমলারা ৷

সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু সেই বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তিনি অপমানিত বোধ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ওই বৈঠক শেষ হওয়ার পরই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ করেন তিনি ৷কেন তিনি এই অভিযোগ করছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

তাঁর দাবি, ১০ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকা হয়েছিল ৷ কিন্তু কোনও মুখ্যমন্ত্রীকেও একটিও কথা বলতে দেওয়া হয়নি ৷ পুতুলের মতো বসিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ শুধু জেলাস্তরের আধিকারিকদের কথা শুনে আর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মাধ্যমে ওই বৈঠক শেষ করা হয়েছে ৷ তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও জেলাস্তরের আধিকারিক এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না ৷ এই কথা এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন ৷ তার কারণও তিনি জানিয়েছেন ৷

তাঁর কথায়, যেহেতু তিনি নিজে ও রাজ্যস্তরের আমলরা উপস্থিত ছিলেন, তাই বাংলার জেলাস্তরের আধিকারিকদের রাখা হয়নি ওই বৈঠকে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি ঠিক কেমন ৷ কেন্দ্রের কাছ থেকে কী কী সাহায্য প্রয়োজন ৷ সমস্ত তথ্য তৈরি করে রাখা হয়েছিল ৷

Covid19-19: রিপোর্ট নিয়ে ছড়াতে পারে বিভ্রান্তি, র‍্যাট কিটে আপত্তি রাজ্যের

কিন্তু তাঁকে একবারের জন্য কথা বলতে দেওয়া হয়নি ৷ এমনকী, রাজ্যের কী কী চাই, তাও জানতে চাওয়া হয়নি ৷ সেই কারণেই তিনি অপমানিত বোধ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

তাঁর বক্তব্য, এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত করা হচ্ছে ৷ তাঁর অভিযোগ, একদিকে মানুষ মরে যাচ্ছে৷ অন্যদিকে বিল্ডিং বানানো হচ্ছে ৷তাঁর কটাক্ষ, মোদি ভাষণে বলছেন যে করোনা কমে গিয়েছে ৷ আসলে প্রধানমন্ত্রী মুখ লুকিয়ে পালিয়ে গেলেন  ৷

তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলার জন্যই করোনা বেড়েছে ৷ বাংলায় আট দফায় নির্বাচনের জন্য করোনা বেড়েছে ৷ বাংলার গ্রামে গ্রামে করোনা বাড়িয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে ৷ সারা দেশকে বিষাক্ত করে দিয়েছে ৷ গঙ্গায় দেহ ভাসছে ৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, করোনা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ সেটা নিয়ে তিনি প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু সুযোগ পাননি ৷ প্রধানমন্ত্রী প্যানডেমিক নিয়ে রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি ৷

সম্পর্কিত পোস্ট