ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি মমতা, বললেন এটা পলিটিক্যাল ফাইট, ভয় পেয়ো না আমি আছি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নারদ মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী। এই মামলার শুনানি হবে শুক্রবার। প্রেসিডেন্সি জেল নিয়ে যাওয়ার পথে কান্না জড়ানো গলায় ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘আমায় কলকাতাবাসীকে বাঁচাতে দিল না’।
ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ অনেক সহজ হত, তা সাংবাদিক বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার নবান্ন থেকে সোজা ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিমের পরিবারকে আশ্বাস দিয়ে তিনি বললেন, ‘ ববিকে জেল থেকে বের করে নিয়ে আসা এখন আমার দায়িত্ব।’
এদিন নবান্ন থেকে ফেরার পথে ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে সাব্বা হাকিমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরহাদ কন্যাকে ভরসা দেন, বলেন, ‘ মন খারাপ করো না। ববি জামিন পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ববি আমার দলের গুরুত্বপূর্ণ সৈনিক। ওকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে।ওকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমার।’
টিকাকরণে নয়া নিয়ম কলকাতা পুরসভার, পেশা অনুযায়ী নির্দিষ্ট করা হল বার
এদিন পরিবারের গুরুজন হিসেবেই সব্বাকে সাহস জোগান মমতা। বলেন, ‘এটা পলিটিকাল ফাইট, একদম ভয় পাবেনা। আমি তো আছি। মনের জোর রেখো।’ সূত্রের খবর ওই সময় ছিলেন না, ফিরহাদ হাকিম এর স্ত্রী।
প্রেসিডেন্সি জেলে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ববি-জায়া। সূত্রের খবর, তাঁকেও ফোন করে অভয়বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন দুপুরেই নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিহিংসা। যার কোনও সীমা নেই।’
এই মহামারী পরিস্থিতিতে কলকাতার ‘ক্যাপ্টেন’ ববি হাকিমের প্রশংসাও করেছেন মমতা। বলেন, ‘কোভিশিল্ড যখন বাংলায় এল তখন ববি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রায়াল দিয়েছিল। তাকে, সুব্রতদাকে আজকে আটকে রাখা হয়েছে। অনেকটা সময় কেটে গেল ববি-সুব্রতদারা কাজ করতে পারছেন না।’ এরপরই সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে ববি হাকিমের বাড়ি যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা।