দুই বিচারপতির মতবিরোধ , বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ কান্ডে শুনানি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হাইকোর্টের শুনানিতে চার হেভিওয়েটয়ের জেলবন্দি থাকা থেকে মুক্তি। চার নেতা মন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতির মধ্যে মতবিরোধ। বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় 4 হেভিওয়েটের জামিন মঞ্জুরের পক্ষে।

কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জামিনের বিরোধিতা করেন। এই বিরোধিতার কারণে এই মামলা লারজার বেঞ্চে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই বেঞ্চে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আপাতত জেলে থাকতে হবে না এই নেতা মন্ত্রীদের।

তবে এই অবস্থায় তাঁদের থাকতে হবে গৃহবন্দী। এর ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ফিরহাদ হাকিম-সুব্রত মুখোপাধ্যায়-মদন মিত্র-শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই অবস্থায় চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত সাহায্য যেমন এই হেভিওয়েটদের করা হবে। একইভাবে এই চার হেভিওয়েটকে সাহায্য করতে হবে সিবিআইকে।

প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেন, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেতাদের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেওয়া হোক৷ যদিও এবিষয়ে প্রধান বিচারপতির ভিন্ন মত রয়েছে। তিনি চার নেতার গৃহবন্দী চাইছেন৷চার নেতারা সমস্ত মেডিক্যাল ব্যবস্থা করা হবে। গোটা বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে নিয়ে যেতে চায় আদালত।

চার তৃণমূল নেতাদের গৃহবন্দীর বিষয়ে স্থগিতাদেশ আনার জন্য আর্জি জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

শিব ঠাকুরের আপন দেশে সবাই যেন পর….

গৃহবন্দী থাকা আর জেলবন্দীর মধ্যে কোনও ফারাক নেই দাবী সিংভির। চার নেতার মুক্তির আবেদন জানা তিনি। যতক্ষণ অবধি মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে না যাচ্ছে ততক্ষণ অবধি চার নেতার অন্তবর্তীকালীন জামিন চাইলেন সিংভি। তিনি বলেন, এনারা সকলেই জনপ্রতিনিধি৷ এদের বিরুদ্ধে তদন্তে সাহায্য না করার কোনও অভিযোগ নেই। এনারা বিমানে করে এখন কোথাও যাচ্ছেন না৷

বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ বেঞ্চের একজন সদস্য অন্তর্বতীকালীন জামিনের জন্য রায় দিচ্ছেন। অপর জন ভিন্নমত পোষণ করছেন। তাই মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি৷

সিংভিঃ যদি বিষয়টি গৃহবন্দী এবং জেলবন্দীর মধ্যে হয় তাহলে আমরা গৃহবন্দী চাইছি। আর যদি গৃহবন্দী এবং জামিনের প্রসঙ্গ আসে তাহলে আমরা জামিনের আবেদন জানাচ্ছি।

সিংভি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের আটকে রাখার ফলে কোভিড মোকাবিলায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
জনপ্রতিনিধিদের কোভিড নিয়ে কাজ করার জন্য এবং কাগজপত্র দেখার জন্য অনুমোদন দেওয়া হোক।

যেহেতু দুই বিচারপতির মধ্যে মামলা নিয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে তাই বিষয়টি উচ্চতর আদালতে উচ্চতর আদালতে উপস্থিত হতে চলেছে কতক্ষণ অব্দি অভিযুক্তদের তাদের গৃহবন্দী থাকতে হতে পারে। দুই বিচারপতির মতবিরোধের কারণে বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ কান্ডে শুনানি।

শুক্রবার দুপুর দুটো থেকে বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদন জানান আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়৷আদালত সিবিআইয়ের আনুরোধে রাজি হয়ে ১৭ তারিখ বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় মামলার শুনানি শুরু করেছিল। আমরাও আদালতকে অনুরোধ করছি মামলা দুপুর ২ টো নাগাদ শুরু করতে। সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে বাদানুবাদে জানালেন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়৷

কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ঃ ফিরহাদ হাকিম এই মুহুর্তে করোনা এবং ভ্যাকসিন নিয়ে ২৪ ঘন্টা কাজ করে চলেছেন। তাই তার সঙ্গে আধিকারিকদের দেখা করতে দেওয়া হোক৷

আদালতের নতুন রায়ে স্থগিতাদেশ চাইলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। পাল্টা সিংভি বলেন, আদালতের রায়ে যদি দু’পক্ষ অসন্তুষ্ট হয় তাহলে আদালত সঠিক পথে চলছে এটা ধরে নিতে হবে।আর কিছুক্ষণের মধ্যে নারদকাণ্ডে রায় ঘোষণা করতে চলেছে আদালত।

সম্পর্কিত পোস্ট