রথীন ঘোষের হাত ধরে মধ্যমগ্রামে চালু হল সেফহোম, রেশন ডিলারদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার ক্ষেত্রে নেওয়া হল উদ্যোগ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে দিনে দিনে করোনার মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। নাভিশ্বাস উঠেছে হাসপাতাল গুলিতে। পাশাপাশি সমস্ত ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার গুলিতে সংকট দেখা দিয়েছে ভ্যাক্সিনের।
তাই এবার রেশন ডিলারদের ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি বলেন যারা রেশন ডিলারের সঙ্গে যুক্ত আছেন তারা প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তাদের ভ্যাক্সিনেশন প্রদান করা হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, এদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু অনেকে রেশন নিতে আসেন। সেক্ষেত্রে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ভয় থেকে যাচ্ছে।তাই আমরা ভেবেছি খাদ্য দপ্তরে যারা কর্মরত আছেন এবং অন্যান্য যারা যুক্ত আছেন তাদেরকে অবিলম্বে টিকা প্রদান করা হবে। তাই সেই মত আজ প্রায় ৭০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সেফ হোম চালু হলো মধ্যমগ্রামে। শুক্রবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে মধ্যমগ্রামের যশোর রোড সংলগ্ন একটি বহুতলে চালু হলো ৮০ শয্যার সেফ হোম। উদ্বোধন করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমন ও মৃত্যুর নিরিখে এই মুহূর্তে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সবথেকে মাথাব্যথার কারণ প্রশাসনের কাছে। জেলায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সমস্ত রোগীদের অধিকাংশ-ই উপসর্গহীন।
রোগীদের ভর্তি করার সময় যেহেতু হাসপাতালে ঠিকমতো বেড মিলছে না, তাই উপসর্গহীন রোগীদের হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকের বাড়িতেই ঘরের অপ্রতুলতা থাকায় তৈরি হচ্ছে সমস্যা।
সেই সমস্যা মেটাতে সেফহোম তৈরীর উদ্যোগ নিল মধ্যমগ্রাম পৌরসভা। ৮০ শয্যার সেফ হোমে পর্যাপ্ত অক্সিজেন খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসক ও নার্সের সুবন্দোবস্ত থাকবে বলে জানান বিধায়ক।
এ বিষয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রাম পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক রথীন ঘোষ জানালেন, উপসর্গহীন যে সমস্ত রোগীদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার অসুবিধা রয়েছে, তাদের সুবিধার জন্যই এই সেফ হোম চালু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী দিনে সেফ হোমে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।