ঘূর্ণিঝড়ে হাসপাতালগুলির বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয়, তাই আগাম প্রস্তুতি পূর্ত দফতরের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আবহের মধ্যেই আরও একটা বড় সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্য প্রশাসন। বিশেষ করে করোনার দ্বিতীয় ঝড় যেভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ তৈরি করেছে এই অবস্থায় আসন্ন ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে চিন্তিত রাজ্য প্রশাসন।

সবচেয়ে বড় কথা ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে হাসপাতাল গুলির বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয় জন্য আগেভাগেই সতর্ক হল রাজ্য সরকার।

সেই প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে রাজ্য পূর্ত দফতরের তরফ থেকে বাড়তি জেনারেটর ভাড়া করার কথা বলা হয়েছে, যাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে এই বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রাখা যায়। শম্ভুনাথ পণ্ডিত ও এসএসকেএম হাসপাতালের জন্য জেনারেটর ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে নির্দেশ এসেছে, কোনও পরিস্থিতিতেই যেন করোনার চিকিৎসা ব্যাহত না হয়। যদিও নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সেই নির্দেশের আগেই ধাক্কা সামলাতে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

পূর্ত দফতরের তরফে বলা হয়েছে, হাসপাতালের বিদ্যুৎ পরিষেবা সুনিশ্চিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ। সাউথ কলকাতা হেলথ ইলেকট্রিক্যাল ডিভিশনের অধীনে ওই বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে।

‘যশ’ মোকাবিলার নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কোভিড বিধি মেনে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি

শুধু কলকাতা নয়, যশের প্রভাব পড়তে পারে এমন 6 জেলাকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। রবিবারের মধ্যেই সর্বত্র বাড়তি জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুত হচ্ছে রাজ্য।

বিভিন্ন দফতরের তরফে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার ক্ষেত্রে করোনা অতিমারি পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। কারণ, রাজ্যের অনেক হাসপাতাল বর্তমানে করোনা চিকিৎসার কেন্দ্র। ফলে সাধারণ হাসপাতাল তো বটেই, করোনা চিকিৎসাকেন্দ্রেও যাতে পরিষেবা কোনও ভাবে ব্যাহত না হয়, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জের বিষয়।

সম্পর্কিত পোস্ট