ঘূর্ণিঝড় যশ মোকবিলায় বসিরহাটে মহকুমাশাসকের দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  রাজ্যের সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জোর কদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামনেথেকে গোটা প্রক্রিয়াটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘন্টায় ঘন্টায় সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক, জেলাশাসক এবং পুলিশসুপারদের সঙ্গে কথা বলছেন। এই নিয়ে জরুরি নির্দেশ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই উপান্নতে কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি। এনডিআরএফ টিম পৌঁছে গিয়েছে জেলায় জেলায়। বেশ কয়েকটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। আপত্‍কালীন ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল- ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬।

যশ মোকাবিলায় জেলায় জেলায় তুঙ্গে প্রস্তুতি। বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখা হচ্ছে না প্রস্তুতিতে। দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রশাসনিক স্তরে ঝড় মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মত্‍স্যজীবীদের। পাশাপাশি, সমুদ্রে থাকা মত্‍স্যজীবীদের সোমবারের মধ্যেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক আইনের শাসন বজায় রাখতে হবে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য

অন্যদিকে আজই, বসিরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তরে উত্তর 24 পরগনা জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা পুলিশ সুপার জবি থমাসকে আটটি বিধানসভার বিডিও, সেচ দপ্তর, বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও পুরপ্রশাসকদের নিয়ে যশের আগাম সতর্কতায় বৈঠক করেন।

কিভাবে এই বিপর্যয় থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবন অঞ্চলের যেসব নদীবাঁধ গুলি আছে সেগুলির উপর সেচদপ্তরের নজর দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। বসিরহাট মহকুমা ও সুন্দরবন লাগোয়া বিদ্যাধরী, কালিন্দী, ইছামতি নদী সহ ওই এলাকার বিভিন্ন নদীতে ইতিমধ্যেই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট স্পিড বোর্ড নামানো হয়েছে। তারা পুরোদমে টহল দেয়া শুরু করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট