অমিত শাহের ৪০০ কোটির ঘোষণা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড়ে কেন্দ্রের বরাদ্দ করা অর্থ নিয়ে ফের ক্ষোভ প্রকাশ মমতার। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর মোকাবিলায় কেন্দ্র-রাজ্য কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়াই করবে।
কিন্তু আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশকে ৬০০ কোটি টাকা ও বাংলাকে ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। আর এতেই চটেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নবান্নে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘একদিকে করোনা তার মাঝে এই ঘূর্ণিঝড়, আমাদের লক্ষ্য ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া। এই সময় আবার জ্বর, ডায়রিয়া হবে কিছু মানুষের সেই ওষুধ জোগাড় করা। ঝড় কিন্তু কেটে যাবে তারপরের লড়াইটা আসল, তাই আমি অনুরোধ করছি ক্লাব, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বেসরকারি সংস্থাদের বলব একজোট হয়ে কাজ করতে।’
ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে খারিজ সিবিআইয়ের আবেদন
তবে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন তিনি জানিয়েছেন, ‘কেউ আতঙ্কিত হবেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত। বিদ্যুৎ-এর লোকেরা প্রস্তুত। তবে ঝড় থামলে সবাই কাজে বেরোবে কারণ আমি কাউকে ঝুঁকির মধ্যে বাইরে যেতে নিষেধ করব। কেউ মারা গেলে ক্ষতিটা আমাদের হবে। ১০০০ জন রয়েছে বিদ্যুৎ-এর বিপর্যয় মোকাবিলায়। সবাই মাস্ক পড়ুন। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা নজরদারি চলবে।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উঠে এসেছে রাজ্যকে বঞ্চিত করার প্রসঙ্গ। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ বাদে বাকি দুই রাজ্যকে 600 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে এর পেছনে কেন্দ্রের বঞ্চনায় দেখছেন মমতা।
তিনি এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘আয়তন ও জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের থেকে বড়। আমাদের প্রাপ্য থেকে টাকা দিচ্ছে ৪০০ কোটি অথচ ওদের ৬০০ কোটি টাকা দিচ্ছে।
বুলবুল, আমফান কিংবা করোনাতে কিছুই দেয়নি। ১০০০ কোটি টাকা যেটা আগেই দিয়েছিল সেটাও আমাদের প্রাপ্যের টাকা। কেন্দ্রের দল এল আমফানের পর, কিন্তু কিছুই হল না।