মুখ্যসচিবের ছাড়পত্রে মুখ্যমন্ত্রীর রায় নিয়ে শুরু জল্পনা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচন মিটে গেছে। ফের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার। আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাত এখনও অবধি জারি রয়েছে। সেই সংঘাতের ছাইচাপা আগুনের উত্তাপ আরও বাড়তে শুরু করেছে যখন মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে বদলির জন্য তলব করা হল।
শুক্রবার যশ নিয়ে কলাইকুণ্ড বিমানঘাঁটিতে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না মমতা বন্দোপাধ্যায়। শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরে ফিরে আসেন দীঘাতে। আর সন্ধ্যে হতেই বদলে গেল রাজনৈতিক আবহাওয়া৷
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করেন কুণাল ঘোষ, কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্ররা। শুধুমাত্র তৃণমূল নয়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বসেন অন্যান্য দলের নেতৃত্বরাও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কী আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে গিয়ে কাজের ছাড়পত্র দেবেন?
প্রশাসনের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভাবনা কম। কারণ, এর আগেও তিন আইপিএস অফিসারকে বদলির জন্য চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যের তরফে ছাড়পত্র না মেলায় তাঁরা এখানেই রয়েছেন।
কিছুদিন আগেই মুখ্যসচিব পদে মেয়াদ ফুরিয়েছে। রাজ্যের তরফে আবেদন করা হিয়েছিল আরও ছয় মাস আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যেন ওই পদে থাকেন৷ কিন্তু কেন্দ্র তা কমিয়ে তিন মাস করে দেয়। মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে আরও তিন মাস তিনি ওই পদে থাকবেন।
তবে মুখ্যসচিব পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন কী না সেটা পুরোটাই নির্ভর করছেন মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর। শুক্রবার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পর এখনও অবধি মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে কিছু জানাননি। শনিবারই দীঘা থেকে ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব। এরপর নবান্নের হাওয়া কোন দিকে বইতে শুরু করে সেটাই দেখার৷