দিনে দুপুরে ত্রাণ লুঠ পূর্ব মেদিনীপুরে, অভিযোগের নিশানায় তৃণমূল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বিপর্যস্ত পূর্বমেদিনীপুরের একাধিক গ্রাম। এখনো নোনা জলের তলায় একের পর এক চাষের জমি। ডুবে রয়েছে ঘরবাড়ি। সবকিছু হারিয়ে এখন সহায় সম্বলহীন মানুষগুলি ঠাঁই নিয়েছেন ত্রান শিবিরে। অনেকে আবার এই পরিস্থিতিতেও ফিরে গিয়েছেন নিজেদের ঘরে।

বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই তাদের কাছে পৌঁছচ্ছেন ত্রান। আপাতত সেসব দিয়েই কোনমতে চলছে দিনযাপন। রাজ্য সরকারের তরফে তাদের ত্রাণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও মেলেনি তা।

এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ক ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন মারফত প্রায় লাখ চারেক টাকার সামগ্রী পূর্বমেদিনীপুরের সুনিয়া, কলাগাছিয়া, ছনবেড়িয়া, কালুয়া ও নামালডিহা অঞ্চলে পৌঁছানোর কথা ছিল। সেই মত ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জনা পাঁচেক সদস্য সেই ত্রাণ বোঝাই গাড়ি নিয়ে সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।

ছনবেড়িয়া এলাকায় পৌঁছতেই কেউ বা কারা সেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গাড়ি আটকায়। দিনের আলোয় রীতিমত সংগঠনের সদস্যদের আটকে রেখে লুঠপাট চালানো হয়। এমতাবস্থায় কন্টাই ও মরিশদা থানার পুলিশকে বারবার জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। ৩ ঘন্টা ধরে তাদের আটকে রেখে রীতিমত লুঠপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।

গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা কনিস্ক পন্ডা জানান, গোটা ঘটনাটি জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। প্রধানমন্ত্রীকেও জানানো হবে। আর্ত মানুষদের সাহায্যার্থে ত্রাণ দিতে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা তা লুঠ করে নেয়। শুধু পূ্র্বমেদিনীপুর বলে নয়, সব জায়গাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বিজেপিকে।

রামনগরের বিধায়ক ও মৎস মন্ত্রী অখিল গিরি জানান, ছনবেড়িয়াতে কী ঘটেছে আমাদের জানা নেই। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রান পৌঁছচ্ছেন সেখানে কেউ বাধা দিচ্ছে না। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্যই অনেকেই এমন ধরণের খবর কাজ করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের মানুষের পাশে ছিল-আছে ও আগামীদিনেও থাকবে।

সম্পর্কিত পোস্ট