বৌদিকে খুন করে আত্মঘাতী দেওর, চাঞ্চল্য মালদার রতুয়ায়
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৌদিকে খুন করে আত্মঘাতী হল দেওর৷ রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া ১ ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকাইয়া গ্রামে৷ খবর পেয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে রতুয়া থানার পুলিশ৷ কী কারণে এই ঘটনা, তা জানতে মৃত বধূর স্বামীকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রতুয়া জুড়ে৷
নিহত বধূর নাম মিনু ঘোষ (২০)৷ বাপের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর সংলগ্ন পেমাই গ্রামে৷ প্রায় তিন বছর আগে দেখাশোনা করে মিনুর বিয়ে হয় মাকাইয়া গ্রামের যুবক শুভঙ্কর ঘোষের সঙ্গে৷ শুভঙ্কর পেশায় কৃষি শ্রমিক৷ তাদের দু’বছরের একটি মেয়েও রয়েছে৷
এদিন দুপুরে শুভঙ্কর জমিতে কাজ করছিলেন৷ সেই সময় মিনুর গলায় ধারালো ব্লেডের কোপ মেরে খুন করে দেওর শিবশংকর৷ বৌদিকে খুন করার পর সেই ঘরের ছাদের বাঁশেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে৷
বিষয়টি নজরে আসলে বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করে দেন৷ ছুটে আসেন পড়শিরা৷ খবর যায় রতুয়া থানায়৷ পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়৷ খুনে ব্যবহৃত ধারালো ব্লেডটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷
কী কারণে এই খুন? খুনের মোটিভ জানতে আপাতত শুভঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷
“আগে মানবিক হও পরে কমিউনিস্ট হবে”…
মিনুর এক দাদা মুকেশ ঘোষ বলেন, ‘ফোনেই শুনলাম, মিনুকে নাকি ওর দেওর খুন করেছে৷ খবরটা পেয়ে মাকাইয়া গ্রামের এক আত্মীয়কে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হই৷ পরে শুভঙ্করও ফোনে গোটা ঘটনা জানায়৷ খবর পেয়ে আমরা প্রথমে মাকাইয়া গ্রামে যাই৷ ওখানে কেউ কিছু বলছে না৷ তাই এখন থানায় এসেছি৷ আমাদের ধারণা, এই ঘটনার সঙ্গে শুভঙ্কর, তার বাবা-মা এবং ছোট ভাইও জড়িত৷ এমনও হতে পারে, মিনুকে খুন করার পর সবার নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ওরাই শিবশংকরকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে৷’
এদিকে মিনুর আত্মীয়া বলেন, “সব কিছু দিয়েই মেয়েটার বিয়ে দিয়েছিলাম৷ বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি শুভঙ্কর ও মিনুকে আলাদা করে দেয়৷ তার জন্য আমার মিনুর মা মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে চলে আসে৷ এক বছর বাবার বাড়িতেই ছিল মিনু৷ পরে শুভঙ্করের বাড়ির লোকজনকে গিয়ে মিনুকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়৷ তবে শুভঙ্কর মদ খেয়ে মাঝেমধ্যেই ওর স্ত্রীকে মারধর করত৷ এই ঘটনার সঙ্গে সে জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা অবশ্য বলতে পারব না৷”
রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকার জানিয়েছেন, আপাতত খুনের মোটিভ খোঁজার চেষ্টা করছেন তারা৷ এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ অভিযোগ দায়ের হলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷