খুচরো দোকানের আওতাভুক্ত, মঙ্গলবার থেকে নির্দিষ্ট সময়ে খোলা থাকবে মদের দোকান

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন বাংলায় কার্যত লকডাউনের বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শিথিলতা জারি করা হয়েছে। তেমনি পয়লা জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের মদের দোকান খোলাতেও সম্মতি দিয়েছে প্রশাসন।

জানানো হয়েছে আপাতত খুচরা দোকান হিসেবেই গণ্য করা হবে মদের দোকানকে। তবে মদের দোকান খুললো এখনো বন্ধ থাকছে পানশালা।

সোমবার নবান্নের তরফের লকডাউন নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। 15 ই জুন অব্দি বিধিনিষেধ থাকলেও মঙ্গলবার থেকে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এই ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা।তারই আওতায় পড়েছে মদের দোকান।

রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই,অনেকেই মনে করছেন এতে ফের সংক্রমণের মাত্রা বাড়লেও বাড়তে পারে।কারণ এ রাজ্যে লকডাউন কার্যকর আগের দিন সন্ধ্যেবেলা যেভাবে রাজ্যের প্রত্যেকটি মদের দোকানে ভিড় জমিয়েছিলেন আমজনতা তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল অনেকেরই।

হেমতাবাদের ভরসা ‘করোনা যোদ্ধা’ সেলিনাকে, একাই এগিয়ে আসছেন মানুষের পাশে

সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সেখানে ফের সোমবার মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়ায় আবার সেই পুরোনো ছবির রিপিট টেলিকাস্ট হবে নাতো? এই প্রশ্নের ঘটছে আমজনতার মনে।

গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকেই রাজ্যে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ নিম্নমুখী। রাজ্য সরকারের কড়া বিধিনিষেধে কাজ হাওয়ায় কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় রাজ্যে জারি করা বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করল রাজ্য সরকার।

সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, এবার থেকে দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত খোলা থাকবে খুচরো দোকান।

বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকান, বাজার। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত শাড়ি এবং গয়নার দোকান খোলা থাকার কথা। মিষ্টির দোকান খোলার ক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ। তবে পাটশিল্প এবং নির্মাণ ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছিল।

সেই মত করে খুচরো দোকানও খোলা রাখতে দেওয়া হোক এই আবেদন জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই অনুরোধ অনুযায়ী বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে এবার কিছু ছাড় দিল রাজ্য সরকার।

সম্পর্কিত পোস্ট