পালিয়ে গেছেন KSA, ফোন ধরছেন না D, তথাগত টুইটে ফের বেসামাল গেরুয়া শিবির
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বিজেপির। তারপর থেকেই উঠে এসেছে নানান তথ্য। ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দরেই তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বনাম রাজ্য নেতৃত্বের বিভাজন। রাজ্যের প্রথম সারির নেতারা অনেকেই বলছেন, শুরু থেকে বাংলার বুকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দাপাদাপি অনেকেই ভালোভাবে নেননি।
লড়াইটা যে মমতা বনাম মোদি হয়ে গিয়েছে সেটা অস্বীকার করেছেন তারা। বিজেপির ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মুখ স্পষ্ট না হওয়া। বঙ্গ বিজয়ের লক্ষ্য ৭৭ এই থেমে যায় বিজেপির। তারপর থেকেই বিজেপি নেতা তথাগত রায় রীতিমতো তুলোধনা করেছেন কেন্দ্র এবং রাজ্য নেতৃত্বদের।
টুইটারের মাধ্যমে দলের প্রথম সারির নেতাদের নিশানা করে তাদের ব্যর্থতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভোট-পরবর্তী হিংসা ঘিরে চলছে সরকার বনাম বিরোধীপক্ষের বাদানুবাদ। এখনো পর্যন্ত অনেক জায়গাতেই বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া। কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সে অর্থে কোনো ব্যবস্থাই নিতে দেখা যায়নি ভারতীয় জনতা পার্টিকে।
ফলাফল বেরোনোর পর একবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা এসেছিলেন মুষ্টিমেয় আহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে দেখা করতে। সেখানেই ইতি। তারপর আর কাউকেই দেখা যায়নি কর্মীদের রক্ষা করতে কোনো ব্যবস্থা নিতে।
এই পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের। টুইট করে তিনি লিখেছেন দলের কর্মী এসেছিলেন সাহায্য চাইতে। তিনি বেশ অসহায় ছিলেন। কয়েক হাজার মানুষ যারা বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন তারা আজ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের চাপে ঘরছাড়া। বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানার বিনিময় ঘরে ফিরতে হচ্ছে তাদের। আমি সাহায্য করতে পারলাম না। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেএসএ পালিয়ে গেছেন। ফোন ধরছেন না ডি।
A very close person came crying today. Said a few thousand men who had worked for BJP hv bn driven out by Trinamooli goons. They will possibly have to pay hefty sums of money to be allowed to return. I am helpless. Of the state leaders KSA have run away. D doesn’t receive calls!
— Tathagata Roy (@tathagata2) June 2, 2021
এর থেকে স্পষ্ট তথাগতর নিশানায় এবার ঠিক কারা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন ছিলেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক। সেই সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মূলত এই চারজনের উপরই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। টুইটেও এই চারজনকেই নিশানা করেছে দুঁদে রাজনীতিবিদ তথাগত রায়।
সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য বিজেপির পরাজয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ কারণ নিয়ে তিনি একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। লকডাউন মিটলেই সোজা দিল্লি গিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে তুলে দিয়ে আসবেন সেই রিপোর্ট।
ভেঙে ফেলা হবে পোস্তা উড়ালপুলের নির্মীয়মান অংশ, শুরু হবে কাজ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের
উল্লেখ্য বঙ্গ বিজেপির পরাজয় প্রথম থেকেই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির কাঠ গড়ায় ছিলেন কৈলাস-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ – দিলীপ এই চার নেতা। প্রকাশ্যে তাদের সমালোচনা করায় দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্ব তলব করে তথাগতকে। তার জবাব তিনি দিয়ে আসেন। তার পরেও কেন সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দুই অঙ্কের সংখ্যা বেরোতে পারল না বিজেপি ,তার কারণ খুঁজে বেড়িয়েছেন তিনি।
তথাগত রায় মন্তব্যের একথা স্পষ্ট, ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা ক্রমশ দল বিমুখ হচ্ছেন। দুর্বল হচ্ছে সাংগঠনিক শক্তি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সর্বভারতীয় দল তাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। এর থেকে বড় ব্যর্থতা আর কিছু হতে পারে না। শুধু তাই নয় ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরাতে কোন উদ্যোগ সে অর্থে নিতে দেখা যায়নি ভারতীয় জনতা পার্টিকে। সুতরাং আগামী দিনে দলে দলে অনেক কর্মী হয়তো আত্মরক্ষার স্বার্থে অন্য কোনো রাজনৈতিক পন্থা অবলম্বন করতেই পারেন। সে ক্ষেত্রে দায়ী থাকবে একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি।