জাতীয় ক্ষেত্রে দলের সম্প্রসারণ: একমাসে কংক্রিট প্ল্যান করে ঝাঁপাবেন অভিষেক

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনে অভাবনীয় জয়ে মমতার দলের অন্যতম সফল কারিগর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জন্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি থেকে সোজা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে উত্তরণ ঘটেছে তাঁর। আর গত শনিবার সেই দায়িত্ব গ্রহণের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বয়সে নবীন হলেও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর চোখে-মুখে ছিল আত্মবিশ্বাসের ঝলক। সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানালেন, বিজেপিকে হারাতে নয়, দেশ বাঁচাতে লড়ব। এখানেই শেষ নয়, আরও একধাপ এগিয়ে তিনি জানান, তাঁর এখন একমাত্র লক্ষ্য দেশের কোণায় কোণায় তৃণমূল কংগ্রেসকে ছড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু কী ভাবে? হইহই করে কি কাল থেকেই এ রাজ্যে-সে রাজ্যে ইউনিট খুলে ফেলবে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস?

যুব সভাপতি থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়া ৩৩ বছরের এই তরুণ নেতাটি জানিয়ে দিলেন, প্রথমে কোনও চারটে বা পাঁচটা রাজ্যে তৃণমূল ইউনিট খুলবে। তার জন্য এক মাস সময় নিচ্ছেন তিনি। তিন সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে কংক্রিট প্ল্যান তৈরি করে ফের সাংবাদিক বৈঠক করে জানাবেন, প্রথম ধাপে দেশের কোন কোন রাজ্যে পা জমাবে তৃণমূল।

অভিষেক এদিন এও জানিয়েছেন, ‘এক মাসের মধ্যে স্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করব। এ বার আমাদের পদ্ধতি ভিন্ন হবে। যে রাজ্যেই যাব জিততে যাব, কিছু ভোট পেতে নয়, কিছু বিধায়কের জন্য নয়। বাংলার মানুষ সব কিছুর জবাব দিয়েছেন। বাংলা কোনও কুত্সার কাছে মাথা নত করে নি। বাংলা বহিরাগতদের কাছে মাথা নত করেনি। বাংলার মানুষের রায়ে দেশে নতুন আশা জেগেছে। বাংলা গোটা দেশকে আশা দেখাচ্ছে।

দেশবাসীকে ফ্রিতে টিকা দেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত, রাজ্যের শাসক দল স্বাগত জানালেও শঙ্কা আমজনতার

তাঁর কথায়, আমাদের লক্ষ্য বিজেপি-কে হারানো নয়, আমাদের লক্ষ্য দেশকে বাঁচানো, দেশের সংবিধানকে রক্ষা করা। সবাই বিশ্বাস করেন, মমতা গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পারবেন।’ কার্যত ২০২৪-এর সলতে পাকানোর কাজ আজ থেকেই শুরু করে দিয়েছেন অভিষেক। অন্তত তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তেমনটাই আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে।

এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিষেক বিজেপির দলে পরিবারতন্ত্র নীতি নিয়ে খোঁচা মেরেছেন। বাংলায় এসে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ‘ভাইপো’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে তুলে আনার জন্য খোঁচা দিয়েছেন মোদি-শাহ, তৃণমূলে পরিবারতন্ত্রের কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি তাঁর জবাবে জানিয়েছেন, ‘বিজেপির আইটি সেলের হেড অমিত মালব্যকে বলব, আইন নিয়ে আসুন যাতে এক পরিবার থেকে একজনের বেশি রাজনীতিতে আসতে না পারে। আইন আনুন। সবার আগে আমি ইস্তফা দেব।’

অভিষেক এও জানান, বারবার বাংলাকেই অপমান করা হয়। কিন্তু কেন বাংলাকে অপমান করা হয় সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে যখন যে জায়গায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের দেহ ভেসে আসছে সেখানে যায় না কেন্দ্রীয় দল। যে রাজ্য গঙ্গায় মরদেহ ভাসাচ্ছে সেখানে যায় না কেন্দ্রীয় দল, আর শুধুই বাংলাকে অপমান ও লাঞ্চিত করবে বলে কেন্দ্রের দল পাঠায়। আসলে হারটা হজম হচ্ছে না কিছুতেই।’

সম্পর্কিত পোস্ট