‘সংরক্ষণ মৌলিক অধিকার নয়’,সুপ্রিম সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তাল সংসদ
শুক্রবার এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সরকারি চাকরি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ মৌলিক অধিকার নয়। এর প্রতিবাদে সোমবার লোকসভায় তীব্র হট্টগোল করে বিরোধীরা। প্রবল হট্টগোলে এদিন মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা।
দ্য কোযারি ওযেবডেস্কঃ সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে তোলপাড় হল সংসদ। বিরোধী সাংসদরাই শুধু নয়, শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হলেন বিজেপি শরিক দলের এক সাংসদও।
শুক্রবার এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সরকারি চাকরি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ মৌলিক অধিকার নয়। এর প্রতিবাদে সোমবার লোকসভায় তীব্র হট্টগোল করে বিরোধীরা। প্রবল হট্টগোলে এদিন মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা।
Siddaramaiah, Congress: Congress Legislative Party meeting has been called on 16th February in Bengaluru to discuss the Supreme Court’s decision over reservation in promotions. #Karnataka (file pic) pic.twitter.com/SR882bkMUc
— ANI (@ANI) February 10, 2020
আদালতের এই রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট এবং অন্যায্য বলে দাবি করে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। যদিও রায়ের ব্যাপারে তাদের কোনও কিছু করার নেই বলে দাবি করেছে সরকার পক্ষ। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি এবং তার মতাদর্শগত পরামর্শদাতা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএ) মৌলিকভাবেই সংরক্ষণের বিরোধী।
Siddaramaiah, Congress: Congress Legislative Party meeting has been called on 16th February in Bengaluru to discuss the Supreme Court’s decision over reservation in promotions. #Karnataka (file pic) pic.twitter.com/SR882bkMUc
— ANI (@ANI) February 10, 2020
আরও পড়ুনঃ #Oscar2020: বহু ইতিহাসের সাক্ষী রইল ৯২ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস্ এর মঞ্চ
এদিন বিরোধী সাংসদরা সুপ্রিম কোর্টের এই রায় পর্যালোচনার দাবি জানান। ওই রায়ে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনও সম্প্রদায়ের ভারসাম্যহীনতার তথ্য না দেখে সংরক্ষণ দিতে বাধ্য নয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য।
এদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণমন্ত্রী থওরচাদ গেহলট বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। এমনটা কেন্দ্র দাবিও করেনি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং এনিয়ে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেব।
এরপরই তাঁর কটাক্ষ, ২০০২ সালে উত্তরাখন্ড কংগ্রেস সরকার সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ না দেওয়ার বিরুদ্ধে মামলার প্রেক্ষিতেই এই রায় দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি, বিরোধীদের প্রবল হৈচৈ-এর মধ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, এনিয়ে রাজনীতি করছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের মনে রাখা উচিত, ২০০২ সালে উত্তরাখন্ডের কংগ্রেস সরকার তফশিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য কোটা না রেখে সরকারি পদ পূরণ করেছিল।
Lok Sabha adjourned till 2pm. https://t.co/43Nb4jfsJ6
— ANI (@ANI) February 10, 2020
বিজেপির পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করা হলেও বিরোধীদের সুরেই গলা মেলান বিজেপির শরিকদল লোক জনশক্তি পার্টির চিরাগ পাসোয়ান। তিনি বলেন, চাকরি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ মৌলিক অধিকার নয় বলে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাঁর সঙ্গে একমত নয় লোক জনশক্তি পার্টি। এ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি করেন তিনি।
LJP President and MP Chirag Paswan in Lok Sabha: Lok Jan Shakti Party does not agree with the Supreme Court’s decision that reservations for jobs, promotions, is not a fundamental right. We urge the Centre to intervene in this matter. pic.twitter.com/pmgemI9TXd
— ANI (@ANI) February 10, 2020
এদিন লোকসভায় কংগ্রেস ও বাম সাংসদরা সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে আলোচনার দাবি জানালে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে সরকার ও বিরোধীরা।
সেসময় এক সাংসদ বলেন, সংবিধান এখন বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে। এর পাল্টা লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বলেন, বিপদের মুখে সংবিধান নেই, রয়েছে সংসদের মর্যাদা।
যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সংরক্ষণের সাংবিধানিক ধারণাকেই আঘাত করেছে সুপ্রিম কোর্টের রায়। বিজেপি শাসনে তফশিলি জাতি-উপজাতিদের অধিকারে ক্রমাগত বিপদের মুখে পড়ছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, আরএসএস এবং বিজেপি নেতারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠেন এবং সংরক্ষণ এদের জ্বালা দেয়। যদিও আমাদের সংবিধান এই অধিকার নিশ্চিত করেছে। তাদের ডিএনএ এই অধিকার মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মোদিজি ও মোহন ভাগবতজি যতই স্বপ্ন দেখুন, আমরা সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে তুলে দিতে দেব না।
BJP सरकार आरक्षण के संवैधानिक अधिकार होने के खिलाफ SC में बयान दे रही है।महान संघर्षों और कुर्बानियों से ये अधिकार हासिल किए गए थे जिससे हिंदुस्तान एक ज्यादा बेहतर राष्ट्र बन सके। आज एक-एक करके वंचित तबकों के अधिकार छीनने की महासाजिश हो रही है। इससे बड़ा देशद्रोह क्या है? pic.twitter.com/o7AxmrbpWE
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 10, 2020