নিউটাউন শুটআউট : NIA তদন্তের দাবি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ- র
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: বুধবার বেলা তিনটে নাগাদ নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে মুহুর্মুহু গুলি লড়াইতে আহত হন এসটিএফের আধিকারিক কার্তিকমোহন ঘোষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে এই মুহূর্তে তিনি জীবন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গুলি তার কাঁধ ফুটো করে চলে গিয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গুলি লাগার কারণে অন্যান্য কোন শারীরিক সমস্যা হতে পারে কিনা।
বৃহস্পতিবার তার একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। নার্ভের পরীক্ষাও করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই চিকিৎসকেরা কার্তিকমোহন বাবুর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আরও একধাপ এগোতে পারবেন। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
কার্তিকমোহন ঘোষ নদিয়ার করিমপুরের বাসিন্দা সাপুরজি আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে সহকর্মীদের সঙ্গে থাকতেন।
ওই আবাসনে দুষ্কৃতী লুকিয়ে রয়েছে খবর পাওয়া মাত্রই অভিযানের পরিকল্পনা করে এসটিএফ। সেক্ষেত্রে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা এবং অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুরোটাই কার্তিকমোহন বাবুর নেতৃত্বাধীন ছিলো কার্তিকমোহন বাবুর। দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত নিউটাউনের সাপুরজি সুখবৃষ্টি আবাসনে পুলিশ বনাম দুষ্কৃতী লড়াইতে নিহত হয়েছে পাঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার সিঙ্গুলার ও তার সঙ্গী সিংহ যশপ্রীত সিং।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি তুলে ধরেছেন রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বিষয়টিকেও। দাবি উঠেছে ফ্ল্যাট মালিক বাংলাদেশের বাসিন্দা। তবে তা এখনও প্রকাশ করেনি তদন্তকারী অফিসাররা।
দিনে দুপুরে এই ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটতেই কলকাতায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আবাসন গুলির নিরাপত্তা নিয়ে।
আবাসনের এক বাসিন্দার কোথায় শুধু এই আবাসন নয়। বিভিন্ন আবাসনে চলে দালালদের রাজত্ব। একাধিক হাত ঘুরে তবেই সেখানে আসে কোনো ভাড়া বা সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট বিক্রির কোন হদিস। অনেক সময়ই কাকে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে বা ফ্ল্যাট কাকে বিক্রি করা হচ্ছে সেই সংক্রান্ত কোন তথ্য আবাসন সংলগ্ন থানায় জমা করা হয় না। তার ফলেই এইরকম ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।
কুখ্যাত ওই গ্যাংস্টারদের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু অস্ত্র। অভিযোগ উঠছে ওই অস্ত্র-গুলির সঙ্গে পাকিস্তানের রয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোন ধারণা দিতে পারেননি তদন্তকারী অফিসাররা।