চোখ রাঙাচ্ছে ভরা কোটাল ও নিম্নচাপ, আতঙ্কের প্রহর গুনছেন হারানো ছাদ হারানো মানুষেরা

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: শুক্রবার রাজ্যে নিম্নচাপের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। রয়েছে ভরা কোটাল। তাই আগাম সর্তকতা জারি করা হয়েছে বসিরহাটের সুন্দরবনের সন্দেশখালি সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায়।

আগেই সর্তকতা জারি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদী সংলগ্ন এলাকায় এবার মাইকিং করতে নেমেছে প্রশাসন । রায়মঙ্গল ও গৌড়েশ্বর নদীতে মাইকিং প্রচারের সঙ্গে কালিতলা ও খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মাইকিং প্রচার শুরু করা হয়েছে। নদী সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আম্ফানের পর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ভ্রুকুটি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সুন্দরবন ও দক্ষিণ 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ। তার মধ্যে নতুন করে ভরা কোটাল চিন্তা বাড়িয়েছে দুর্গত মানুষদের।

মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ গুলোকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করা হচ্ছে। ফ্লাড সেন্টার গুলোকে তৈরি রাখা হয়েছে। উপকূল এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে লাগাতার সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে।

বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কলকাতায় পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম আজ শহরের বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শন করেছেন। চেতলা লকগেট সহ নিচু এলাকার বাসিন্দাদের জন্য স্থানীয় স্কুল বাড়ি খুলে রাখা হচ্ছে।প্রয়োজনে তারা সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

এরই মাঝে আজ টর্নেডো আছড়ে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে। আজ সকালে টর্নেডোর আচমকা দাপট দেখা যায় সাগর দ্বীপে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আচমকাই দেখা যায় মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর একটা কালো মেঘের কুণ্ডলী পাক খেতে খেতে নেমে আসছে। সেই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা।

যদিও নদী থেকে আর স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসেনি টর্নেডো। ফলে, ঘরবাড়ির কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগামীকাল বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে, তার জেরেই এমন টর্নেডো বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

ইতিমধ্যেই পূর্বমেদিনীপুর জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে বজ্র সহ বৃষ্টি। নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসে সমুদ্র ও নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠবে। ঘটতে পারে বিপত্তি। আগে থেকেই সতর্ক পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।

জেলার উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের উদ্দেশ্যে পুলিশ, প্রশাসন বুধবার রাত থেকে মাইকিং করে সতর্ক করছে মানুষকে। জেলা প্রশাসন তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

নবান্নের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে সমগ্র পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট