শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জরুরী বৈঠকে যোগী আদিত্যনাথ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচনের আগেই উত্তরপ্রদেশের বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে মতপার্থক্য৷ এমত অবস্থায় দলের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বৈঠক করতেই বৃহস্পতিবার দিল্লিতে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷
কোভিড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং যোগী আদিত্যনাথের সম্পর্কে দুরত্ব তৈরি হয়। তবে দুরত্ব মেটাতেই দিল্লিতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী?
বিজেপি সূত্রে খবর, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর। আলাদা করে বৈঠক করবেন বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে।
আর কিছু মাস পরেই রয়েছে নির্বাচন। বিজেপির প্রধান লক্ষ্য নির্বাচনে নিজেদের গড় রক্ষা। কিন্তু রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদরাই। কোভিড মোকাবিলা এবং গঙ্গায় কোভিড মৃতদেহ ভেসে ওঠা এই সমস্ত বিষয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে খুশি নন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এবারের নির্বাচনে বিজেপির মুখ হতে পারেন অন্য কোনও ব্যক্তি৷ তাই জরুরী নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে চাইছেন যোগী আদিত্যনাথ৷
প্রসঙ্গত, গতকালই শিবির বদল করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জীতিন প্রসাদ। উত্তরপ্রদেশে ১০ শতাংশ ব্রাহ্মণ ভোটের দিকে নজর রেখে বিজেপির বড় অস্ত্র হতে পারেন তিনিই। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে গুরুত্ব বাড়তে পারে তাঁর।
অন্যদিকে গত সপ্তাহেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছে প্রাক্তন আমলা একে শর্মা৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ট এই ব্যক্তি আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির মুখ হতে পারেন। এমনটাও চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের এই বৈঠক রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহেই সমস্ত বিধায়ক এবং সাংসদ সহ মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা বিকে সন্তোষ। আরও এক দফায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন আরএসএসে দাত্তাত্রেয়া হোসাবলে৷ সূত্রের খবর, দুটি বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বদল নিয়ে আলোচনা হয়। এবিষয়েই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চান যোগী আদিত্যনাথ৷