মমতা অভিষেকের মাঝে মুকুল, সাড়ে ৩ বছর পর ঘর ওয়াপসি
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: মাঝখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক বাঁদিকে মুকুল রায়। তার ঠিক পাশেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পিছনে রয়েছেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তারা তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেন।
প্রায় সাড়ে তিন বছর পর এই ফ্রেম রাজনীতির ময়দানে সাড়া ফেলে দিয়েছে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায়কে সম্মান জানালেন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন আরো অনেকেই আসবেন দলে। তবে যারা তিক্ততার সৃষ্টি করেননি তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে।
একইসঙ্গে দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান “ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। মুকুল কোনদিনই বিরোধী কথা বলেনি। আমার সঙ্গে মুকুলের মতবিরোধ কোন দিন ছিল না। আগে যে ভূমিকা মুকুল পালন করেছে এখনো সেই ভূমিকায় থাকবে মুকুল। তবে কোন পদ দেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। অনেক এজেন্সি দিয়ে ধমকে মুকুলকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।”
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় জানান “কেন বিজেপি ছেড়েছি বলা ভালো বিজেপি করব না সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা লিখিত আকারে জানাবো। নতুনভাবে তৃণমূলের ফিরে এসে ভালো লাগছে। অনেকদিন পর পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। আজ অনেকের সঙ্গে দেখা হলো যাদের সঙ্গে আমার দিনের পরিচয়।”
একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন মুকুল রায়। দল গঠনের সময় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী তিনি। তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর দাপট কোনদিনই মানতে পারেননি মুকুল রায়। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের মতে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেবার পর থেকেই ক্রমশ বদলাতে শুরু করে সমীকরণ।
দল থেকে আবর্জনা দূর করুন, শুভেন্দুকে অনুরোধ বৈশালী ডালমিয়ার
ফের সেই দাপট এবং একচ্ছত্র অধিকার কায়েমের চেষ্টা চালাতে শুরু করেছেন শুভেন্দু। মেনে নিতে পারছিলেন না মুকুল রায়। মকুলের হাত ধরেই ফের নতুন করে শক্তি অর্জন করবে দল। একথা স্বীকার করেছেন দলনেত্রী। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেন মুকুল রায়। তার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোপন বৈঠক হয়েছিল। মুকুলের তৃণমূলে ফিরে আসার বিষয়টি না জানাজানি হতে পারে সেজন্য গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গোপন রাখা হয়েছিল।
শুক্রবার সকালে এই বিষয়টি জানাজানি হতেই দিল্লি থেকে মুকুল রায়ের কাছে ফোন আসে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা তার সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি মনস্থির করে ফেলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ফোন ধরেননি।