তপশিলি ভোট বড় ফ্যাক্টর, বাজেটে কল্পতরু মমতা
যে আদিবাসী এবং তপশিলি জাতি-উপজাতিদের আপন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচার করেছিলেন, তারাই ভোট দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে ৪২ টি আসনের কনফিডেন্ট ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নির্বাচনে তাঁর স্ট্র্যাটেজি কাজ করেনি। সকলকে চমকে দিয়ে বাংলা থেকে ১৮ টি আসন নিজেদের ঝুলিতে ভরে নেয় বিজেপি।
রীতিমতো পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যে আদিবাসী এবং তপশিলি জাতি-উপজাতিদের আপন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচার করেছিলেন, তারাই ভোট দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে।
উত্তরবঙ্গের বিরাট অংশের মানুষ মোদি2.o সরকার গঠনের জন্য ভোট দেন। জঙ্গলমহলের ভোট হারায় ঘাসফুল শিবির। এরপর থেকেই নিজেদের অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য নিজেই মাঠে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ Budget 2020-21 LIVE: সরাসরি বিধানসভা থেকে
নির্বাচনী স্ট্র্যোটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের “দিদিকে বলো” কর্মসুচী সহ একাধিক জনসভার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় তৃণমূল।
আগামী ২১ এর নির্বাচনে এই আদিবাসী এবং তপশিলি জাতি-উপজাতিদের ভোট একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে এটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাই তো এবারের পুর্ণাঙ্গ বাজেটে আদিবাসী এবং তপশিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য আলাদা করে প্রকল্পের ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
“বন্ধু প্রকল্প” এর আওতায় এবার থেকে ১০০০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা পাবেন ৬০ বছরের বেশি তপশিলি জাতি-উপজাতির মানুষ। এর জন্য ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।
পাশপাশি ৬০ বছরের অধিক আদিবাসী সম্প্রদায়ের ১০০ শতাংশ মানুষ যারা অন্য কোনও পেনশন পাবেন না, তাঁরা এবার থেকে মাসে হাজার টাকা করে পাবেন।
আরও পড়ুনঃ আর নয় পুঁথিগত পঠনপাঠন, আপন মনে চলতে দাও ওদের
যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। রাজকোষ শূন্য থাকা সত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসে কতটা উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
যদিও এবারের নির্বাচনকে আলাদা করে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক মহলের মতে বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।