সাংসদের উপর হামলা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ, দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত গোটা রাজ্য জুড়ে। কোথাও শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর আক্রমনের ঘটনা। আবার কোথাও শাসক দলের কর্মীদের উপর আক্রমনের অভিযোগ উঠেই আসছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অধীন জলপাইগুড়ি জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের ভান্ডারিগছ এলাকায় জলপাইগুড়ির বিজেপির সাংসদ জয়ন্ত রায় সহ কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সরাসরি এই ঘটনার দায় চাপানো হয় শাসক দলের বিরুদ্ধে।
আহত অবস্থায় সাংসদকে সহ কর্মী-সমর্থতদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে শুক্রবারই মেডিকেল কলেজে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের আধিকারিকরা।
ভোটের আগে আকালির সঙ্গে মায়াবতীর জোট, সমীকরণ বদলাচ্ছে পাঞ্জাবে
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের গ্রেফতার দাবিতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার গৌরব শর্মাকে শনিবার স্মারকলিপি দিলেন বিজেপির ছয় বিধায়ক।
অন্যদিকে সাংসদের উপর হামলা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার।
তিনি বলেন, রাজ্য জুড়ে বিজেপি অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছে। আর দায় চাপাচ্ছে শাসক দলের উপর। ধীরে ধীরে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে তারই প্রস্তুতি চলছে।
সাংসদের উপর হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যারাই করে থাকুক না কেন তাদের শাস্তি হোক। এমনই দাবি জানালেন দার্জিলিং জেলার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার।
তিনি বলেন সাংসদের হামলার ঘটনায় দেশের গণতন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে তাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।
শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিজেপির যেসব ঘরছাড়া কর্মীরা জেলা ও রাজ্যের বাইরে আশ্রয় নিচ্ছে তাদের বাড়ী ফেরানোর দায়বদ্ধতা রয়েছে উচ্চনেতৃত্বের উপর। সাংসদ জয়ন্ত রায় সেই কাজ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন। যারা দোষী তাদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছি আমরা। আশা রাখি প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।