যেসব এলাকায় সংক্রমন বেশী, সেখানে হবে কনটেন্টমেন্ট জোন, কোভিড রুখতে কঠোর পদক্ষেপ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে যে সব এলাকায় সংক্রমণের হার খুব বেশি, সেই সব এলাকায় কনটেন্টমেন্ট জোন অথবা মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোন করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। মঙ্গলবার মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বীবেদী সব জেলাশাসককে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা পুরসভাতেও এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। চিহ্নিত এলাকায় কোভিড সংক্রমিত রোগীদের দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে। ওই সব এলাকায় কোভিড পরীক্ষা বাড়াতে হবে। উপসর্গহীন রোগীদেরও আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
কনটেন্টমেন্ট জোনগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য বিধি নিষেধ কঠোর ভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে করোনা নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসকরাও। যে সব জেলা এবং পুরসভায় ২০০ র বেশি করোনা সংক্রমণের খবর আসছে, সেই সব এলাকায় সংক্রমণ কমানোর ওপর মুখ্যমন্ত্রী জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নিল সরকার।
দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে কড়া হন স্পিকাররা, টুইট বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্যে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকলেও যেসব জেলায় ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ সেইসব জেলা প্রশাসনকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রমনের হার উর্ধ্বমুখী থাকায় নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলার মত দশটি জেলার জেলাশাসককে এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।
সেখানেই তিনি যে সব জেলায় দৈনিক সংক্রমণ দুশোর বেশি হচ্ছে সেখানে সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করার নির্দেশ দেন। সাত- আটটি জেলায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কড়া বিধি-নিষেধ জারি করায় রাজ্যে দৈনিক সংক্রমনের হার বাইশ শতাংশ থেকে কমে ছয় শতাংশ হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন।