‘টিএমসি সেটিং মাস্টার… গো ব্যাক’ – বঙ্গ বিজেপিতে বড় ফাটল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিভাজন যেন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় জুটি ভেঙে গিয়েছে।
মুকুল রায় দল ছাড়ার পর বিজেপির অন্দরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে নিয়ে ক্ষোভের পারদ ক্রমশ চড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে। এই পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘টিএমসি সেটিং মাস্টার… গো ব্যাক’।
বিজেপির অন্দর সূত্রে জানা গিয়েছিল মুকুল রায়ের সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সখ্যতা অনেকটাই বেশি। সেছবি বারবার ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমেও। মুকুল রায় দল ছাড়তেও তাই বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি কৈলাশ বিজয়বর্গীর তরফে।
৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য বিজেপির পার্টি অফিসে এরকম বড় বড় তিনটি ব্যানার পড়েছে। ব্যানার পড়েছে এয়ারপোর্ট এবং হেস্টিংসের কার্যালয়ের বাইরেও। এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব নাকি, তৃণমূলের কোনো চাল? যদিও এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। কুলুপ এঁটেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় স্বয়ং।
অসমের রাজনীতিতে বদলের সম্ভাবনা, বিধায়ক পদে ইস্তফা রূপজ্যোতি কুড়মির
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের এই জ্বলন্ত উদাহরণ। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যেভাবে বিজেপি নেতাদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে তার ফায়দা তুলতে পারে যে কেউ। একই সঙ্গে তাদের মত, যেভাবে তথাগত রায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে তোপ দেগেছিলেন তাতে একথা স্পষ্ট বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে ফাটল। সময় থাকতে থাকতে এই ফাটল রুখতে হবে নেতৃত্বদের না হলে এর মাশুল দিতে হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টিকে।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই একাধিকবার টুইটে দিলীপ ঘোষ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননকে নিশানা করেন তথাগত রায়। দিন কয়েক আগেই মুকুলের দল ছাড়া নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে টুইট বিঁধেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা। টুইটে কৈলাসকে বোকা বিড়াল বলেছিলেন তথাগত রায়।
একই সঙ্গে তিনি এক বিজেপি কর্মীর টুইট রিটুইট করে লিখেছিলেন, একজন বিজেপি সমর্থকের পোস্ট ইংরেজিতে রিপোস্ট করলাম। এতে আমার অতিরিক্ত সংযোজন নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্টি বলে সম্মোধন করে তার কথা ‘প্লিজ এই বোকা বিড়ালটিকে তৃণমূলে নিয়ে যান। বন্ধুকে হারিয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।’