উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করা তো দূর, ৬ মাস পর অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে বিজেপিঃ গৌতম দেব
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যকে ভাগ করার যারা চক্রান্ত করছে আগামী ছ মাসে তারা অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে। তোপ দাগলেন রাজ্যের প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী ও শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা জানান, সংসদে এবিষয়ে আলোচনা প্রস্তাব আনা হবে। তারপরই আরও জটিল আকার ধারণ করেছে পরিস্থিতি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে সঙ্কটে পড়েছেন আমজনতা। এহেন পরিস্থিতিতে আলাদা রাজ্যের দাবি উস্কে দিয়ে নিজেদের বিড়ম্বনা বাড়ালেন বিজেপির উত্তরবঙ্গের কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ক। যা তাদের ব্যাকফুটে ফেলে দেবে।
এই প্রসঙ্গ টেনেই প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “বিজেপির কাছে উন্নয়ন, শান্তি, ফেডারেল স্ট্রাকচার এসব কোন গুরুত্ব রাখে না। তাদের একটাই চিন্তাধারা একটি দেশ একটি পার্টি থাকবে। যে কায়দায় এরা বিভিন্ন রাজ্য গুলি দখল করেছে সেই কায়দায় বাংলা দখল করতে চেয়েছিল। দু বছর ধরে নিবির চাষ করেছে বাংলায়।”
জমা জল থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে খাল সংস্কারে জোর কলকাতা পুরসভার
তিনি বলেন, “এতকিছুর পরেও বাংলা দখল করা তো দুরস্ত, বিজেপি ছেড়ে উল্টোপথে যেভাবে সবাই হাঁটছে তাতে আগামী ৬ মাস পর বাংলায় বিজেপির অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে।”
একইসঙ্গে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায় যেভাবে পাহাড় ও জঙ্গলমহলকে শান্ত করেছে বিজেপির নেতৃত্বরা আবার উস্কে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মানুষের রায় নিয়ে সর্বোচ্চ আসন নিয়ে জিতে আশা সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছে ওরা। তাই রাজ্যর প্রতিটি মানুষকে কেন্দ্রের সরকারের এই জঘন্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে এগিয়ে আশার জন্য আহ্বান জানান তিনি।”
“তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছে। স্বাধীন রাষ্ট্র বানাতে চাইছে।” সরাসারি বিজেপির সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে নিশানা করলেন শাসক শিবিরকে। শিলিগুড়ির জয়মনি ভবনে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করে সায়ন্তন বসু বলেন “উত্তরবঙ্গের হাজার হাজার বিজেপি কর্মী ঘর ছাড়া, গ্রাম ছাড়া। তৃণমূলের অত্যাচারে তাই জন বার্লা বলেছেন উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। আলাদা রাজ্যের দাবি তিনি করেননি। সমস্তটাই ভুল তথ্য।”
নন্দীগ্রাম ভোট গণনা বিষয়ে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন বিচারপতি বিজেপির সদস্য। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিচার ব্যবস্থার প্রতি ন্যূনতম আস্থা নেই তৃণমূলের। তাই এই ধরনের মন্তব্য করছে।”পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি, “একজন বিচারপতি কখনো কোন রাজনৈতিক দলের হতে পারে নাকি?” চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “ কোন জজ বিজেপির ঘনিষ্ঠ তা প্রমান করুক ওরা। সংবিধানের প্রতি যাদের আস্থা নেই তারাই এই মন্তব্য করে।”